অনেক আগেই ২০২৫ সালের চ্যাম্পিয়ন ট্রফি নিশ্চিত করতে পারতো বাংলাদেশ দল। তবে শ্রীলংকার নবমতম স্থানে বিশ্বকাপ শেষ করা এবং অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচ হেরে বাংলাদেশের ভাগ্য ঝুলে ছিল ভারত বনাম নেদারল্যান্ড ম্যাচে। ভারত নেদারল্যান্ডকে হারাতে পারলেই ২০২৫ সালের চ্যাম্পিয়ন ট্রফির টিকিট পেত বাংলাদেশ দল। ভারত সেই কাজটা করেছে বেশ অনায়াসে। গ্রুপ পর্বে নেদারল্যান্ডের বিপক্ষে শেষ ম্যাচে ১৬০ রানের বড় জয় পেয়েছে ভারত। বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বে এখনো অপরাজিত দল ভারত।
চেন্নাস্বামী স্টেডিয়াম ব্যাঙ্গালুরুতে টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ভারতীয় অধিনায়ক রোহিত শর্মা। শুরুতেই ভারতীয় দুই ওপেনার প্রথম ১০ ওভারে যোগ করেছিলেন ৯১ রান। দলীয় ১০০ রানে আউট হয়েছেন শুভমান গিল। ৩২ বলে ৫১ রান করেছিলেন তিনি। ফিফটির পর ইনিংস লম্বা করতে পারেননি আরেক ভারতীয় ওপেনার রোহিত শর্মা। ৫৪ বলে ৬১ রান করেছিলেন তিনি। বিরাট কোহলি ও রোহিত শর্মার পথেই হেটেছেন। ৫৬ বলে ৫১ রান করে সাজ ঘরে ফিরেছেন তিনি। তবে শ্রেয়াস আইয়ার ও কে এল রাহুল, কোহলি ও রোহিতকে অনুকরণ করেননি। তারা দুজনেই খেলেছেন শত রানের ইনিংস। দুজনে মিলে ভারতের ইনিংসে যোগ করেন ২০৮ রান। আইয়ার খেলেন ৯৪ বলে ১২৮ রানের অপরাজিত ইনিংস। রাহুল করেন ৬৪ বলে ১০২ রান। ভারতের ইনিংসের শেষ ওভারের পঞ্চম বলে আউট হন রাহুল। তাদের দুজনের অসাধারণ ইনিংসের ফলে চার উইকেট হারিয়ে ৪১০ রানের সংগ্রহ পায় ভারত।
৪১১ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ধীর স্থির ভাবে ইনিংস শুরু করেছিল নেদারল্যান্ড। প্রথম দশ ওভারে এক উইকেট হারিয়ে যোগ করেছিল ৫১ রান। কিন্তু ভারতের বোলিং লাইন আপের সামনে লড়াই করতে পারেননি নেদারল্যান্ড ব্যাটসম্যানরা। ছোট ছোট পার্টনারশিপ করলেও বড় কোন ইনিংস খেলতে পারেননি নেদারল্যান্ড। নেদারল্যান্ড ব্যাটসম্যান তেজা নিদামানূরুর ৩৯ বলে ৫৪ রানের ইনিংসটি নেদারল্যান্ডের সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত সংগ্রহ। যার ফলে ২৫০ রানেই অলআউট হয় ডাচরা।
ম্যাচ হেরে পয়েন্ট তালিকায় ১০ নম্বর স্থান থেকে বিশ্বকাপ শেষ করল নেদারল্যান্ড। যার ফলে ২০২৫ সালের চ্যাম্পিয়ন ট্রফিতে অংশগ্রহণ করা হলো না তাদের। অন্যদিকে পয়েন্ট তালিকায় এক নম্বর স্থান এবং অপরাজিত দল থেকে গেল ভারত। ঘরের মাঠে বিশ্বকাপ জয় করতে পারলেই বিশ্বকাপের একমাত্র দল হিসেবে অপরাজিত থেকে ট্রফি জয়ের স্বাদ গ্রহণ করবে ভারতীয় দল।