অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ছয় উইকেটে বিশ্বকাপের ফাইনালে হারের পর যত দ্রুত সম্ভব মাঠ ত্যাগ করার চেষ্টা করেছেন ভারতীয় খেলোয়াড়েরা। খেলার আলোচনা থেকেও দূরে সরে থাকতেই পছন্দ করবেন তারা। ভারতের সাবেক ক্রিকেটাররাও অস্ট্রেলিয়ার জয়কে প্রাধান্য দেবেন সেটাই স্বাভাবিক। তবে অস্ট্রেলিয়ার জয়ের উল্লাসে আড়ালে রয়ে গেছে বিরাট কোহলির অতিমানবীয় কীর্তিগুলো। এই বিশ্বকাপে একের পর এক মহান কীর্তি গড়েছেন বিরাট কোহলি।
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে ৮৫ রানের এক অসাধারণ ইনিংস দিয়ে নিজের বিশ্বকাপ যাত্রা শুরু করেন বিরাট। এরপর যেন বিশ্বকাপে বিরাট কোহলিকে আউট করাটাই দ্বায় হয়ে গিয়েছিল বিপক্ষে বোলারদের জন্য। বিশ্বকাপে মোট ১১ ইনিংসের মধ্যে নয়বার ৫০ উর্ধ্ব ইনিংস খেলেন বিরাট কোহলি। এর আগে বিশ্বকাপে নয়বার ৫০ ঊর্ধ্ব ইনিংস খেলতে পারেনি কোন ব্যাটসম্যান। এর মধ্যে তিনবার শতকের দেখা পেয়েছেন তিনি। শচীন টেন্ডুলকার ও সাকিব আল হাসানের সর্বোচ্চ ৭টি অর্ধশতকের বিশ্বকাপ রেকর্ড ভেঙেছেন বিরাট।
পুরো বিশ্বকাপে ১১ ইনিংসে ৯৫.৬২ গড় ও ৯০.৩১ স্ট্রাইক রেটে করেছেন ৭৬৫ রান। বিশ্বকাপ ইতিহাসে ৭০০ ওপরে রান করতে পারেনি আর কোন ব্যাটসম্যান। এর আগে বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ডটি ছিল ভারতীয় কিংবদন্তি শচীন টেন্ডুলকারের। ২০০৩ সালের বিশ্বকাপে ৬৭৩ রানের সর্বোচ্চ সংগ্রহটি ভেঙেছেন বিরাট। শচীন টেন্ডুলকারের আরও একটি রেকর্ড এই বিশ্বকাপে নিজের নামে লিখেয়েছেন বিরাট। শচীন টেন্ডুলকারের ওয়ানডেতে সর্বোচ্চ ৪৯ সেঞ্চুরি রেকর্ডও ভেঙেছেন কোহলি। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সেমিফাইনালে ১১৭ রানের ইনিংস খেলে ওয়ানডে ক্রিকেটে ইতিহাসে সর্বোচ্চ সেঞ্চুরির মালিক বনে গিয়েছেন বিরাট। বিরাট কোহলির বর্তমান ওয়ানডে সেঞ্চুরির সংখ্যা ৫০।
একই বিশ্বকাপে একাধিক রেকর্ড ভেঙেছেন তিনি। তবে অস্ট্রেলিয়া জয়ের ভিড়ে কোথাও হারিয়ে গেল বিরাটের রেকর্ড গুলো। ফাইনালে অস্ট্রিয়ার বিরুদ্ধে জয় পেলে রেকর্ডগুলো আরো বেশি অমর হয়ে থাকতো ভারতীয় ক্রিকেটে। যদিও বিরাট যে রেকর্ডগুলো করেছেন তার কৃতিত্ব কম নয়।