নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ২২৭ রানের পাহাড় সমান লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে মাত্র ১৮০ রানে অলআউট হয় পাকিস্তান দল। দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টির চিত্রটাও প্রায় একই রকম। এবারের ১৯৫ রানের লক্ষ্যে ১৭৩ রানে অলআউট হয়েছে শাহিন শাহ আফ্রীদির দল।
সেডন পার্ক, হ্যামিল্টনে আগে টসে জিতে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় পাকিস্তান দল। সেই সিন্ধাতকে ভুল প্রমাণ করতে খুব বেশি সময় নেয়নি নিউজিল্যান্ডের দুই ওপেনার। প্রথম পাওয়ার প্লেতে ১ উইকেট হারিয়ে ৬৫ রান যোগ করে নিউজিল্যান্ড। পাওয়ার প্লের শেষেও নিজের বিধ্বংসী ইংনিস চালু রাখেন নিউজিল্যান্ড ওপেনার ফিন এ্যালেন। ৪১ বলে ৭৪ রান করেন তিনি। দলীয় ১৩৭ রানে এ্যালেন আউট হলে দ্রুত আরো উইকেট হারাতে থাকে ব্ল্যাক ক্যাপসরা। যার ফলে শেষ দিকে রান তুলতে ব্যর্থ হয়েছে নিউজিল্যান্ড। ১৯৪ রানে নিজেদের ইংনিস শেষ করে নিউজিল্যান্ড।
১৯৫ রানের লক্ষ্যে শুরুতেই ম্যাচ থেকে পিছিয়ে পড়ে পাকিস্তান। মাএ ১০ রানে সাজঘরে ফিরে যান পাকিস্তান দলের দুই ওপেনার। এরপরে বাবর আজম এবং ফখর জামানের জুটিতে জয়ের আশা টিকিয়ে রেখেছিল পাকিস্তান। দুজনে মিলে ৯৫ রান যোগ করেন। ২৫ বলে ৫০ রান করে ফিরে যান ফখর জামান। বাবর আজম একপাশ আগলে রাখলেও অপর পাশ সঙ্গ পাননি তিনি।
শেষ পর্যন্ত বাবর আজম ৬৩ রানে আউট হলে জয়ের আশা থেমে যায় পাকিস্তানের। ২১ রানের জয় পায় নিউজিল্যান্ড। এই ম্যাচ হেরে ৫ ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের ২-০ ব্যবধানে পিছিয়ে পড়ল পাকিস্তান।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
নিউজিল্যান্ড: ২০ ওভারে ১৯৪/৮ (অ্যালেন ৭৪, উইলিয়ামসন ২৬, স্যান্টনার ২৫, কনওয়ে ২০; রউফ ৩/৩৮, আব্বাস ২/৪৩)।
পাকিস্তান: ১৯.৩ ওভারে ১৭৩ (বাবর ৬৬, ফখর ৫০, শাহিন ২২; মিলনে ৪/৩৩, সিয়ার্স ২/২৮, সাউদি ২/৩১, সোধি ২/৩৩)।
ফল: নিউজিল্যান্ড ২১ রানে জয়ী।
সিরিজ: ৫-ম্যাচ সিরিজে নিউজিল্যান্ড ২-০-তে এগিয়ে।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ: ফিন অ্যালেন।