ফিফা ব়্যাঙ্কিংয়ে ২ নম্বর দলের সঙ্গে ১৯৮ নম্বর ব়্যাঙ্কিংয়ে থাকা দল জিব্রাল্টারের খেলা। লড়াইটা যে মোটেও সম্ভব না তা আগে থেকে জানা ছিল সবার। তবে জিব্রাল্টারকে ১৪ গোল হজম করতে হবে ভাবতে পারিনি কেউ। ফিফা ব়্যাঙ্কিংয়ে দ্বিতীয় স্থানে থাকা দলটি গত বিশ্বকাপের রানার্সআপ কিলিয়ান এমবাপের ফ্রান্স। একে একে ১৪ গোল খেয়েছে জিব্রাল্টার দল। যা ফ্রান্সের ফুটবল ইতিহাসের সর্বোচ্চ জয়। এর আগে ১৯৯৫ সালে আজারবাইজানের বিপক্ষে ১০-০ জয় পেয়েছিল ফ্রান্স। এই রেকর্ডটি এতদিন পর্যন্ত অব্যাহত ছিল সর্বোচ্চ জয়ের ক্ষেত্রে।
তবে গতরাতে ইউরো কোয়ালিফায়ার ম্যাচে নিজেদের রেকর্ড ভেঙেছে কিলিয়ান এমবাপে ও এন্টনিও গ্রিজম্যানরা। ইউরো কোয়ালিফায়ারেও সর্বোচ্চ জয়ের রেকর্ড এখন তাদের দখলে। পুরো ম্যাচ ৩৯ শট নিয়েছে ফ্রান্স যার বিপরীতে কোন শট নিতে পারেনি জিব্রাল্টার। ৩৯ শটের ২০ টি শট লক্ষ্যে রাখতে পেরেছিল ফ্রান্স।
ম্যাচের তৃতীয় মিনিটে ইথান সান্তোসের আত্মঘাতী গোলে এগিয়ে যায় ফ্রান্স। এক মিনিট পরে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন মার্কোস তুরাম। ১৬ মিনিটে আবারো ফ্রান্সের হয়ে ব্যবধান বাড়ান ১৭ বছর বয়সী মিডফিল্ডার ওয়ারেন জাইরে-এমেরি। ১৮ মিনিটে আরো কালো মেঘ নেমে আসে জিব্রাল্টার ওপরে। লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন সান্তোস। এরপরে বিশ্ব রেকর্ডের গল্প লেখাটা ফ্রান্স দলের জন্য আরো সহজ হয়ে ওঠে।
ফ্রান্সের ১০ জন খেলোয়াড় স্কোর শিটে নাম তোলেন। জোড়া গোল করেন অলিভিয়ার জিরু ও কিংসলে কোমান। হ্যাটট্রিকের দেখা পান ফ্রান্স অধিনায়ক কিলিয়ান এমবাপে। এই জয়ে ৭ ম্যাচ থেকে ৭ জয়ে ২১ পয়েন্ট নিয়ে ‘বি’ গ্রুপের পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে ফ্রান্স। ইউরো কাপের মূল পর্বের টিকিটও পেয়ে গেছে ফ্রান্স। অন্যদিকে ৭ ম্যাচ খেলে পয়েন্ট টেবিলের খাতা খুলতে পারেনি জিব্রাল্টার।