এলক্লাসিকোয় হারের পর বার্সেলোনা খেলোয়াড় গুন্দুয়ান বলেছিলেন, “বার্সেলোনা হারার মতো ম্যাচটা খেলেনি। জয়টাই প্রাপ্য ছিল আমাদের।” গতকালের ম্যাচে রিয়াল সোসিয়েদাদের খেলোয়াড়েরা একই কথায় বলতে পারে। যেখানে জয়টাই পাপ্য ছিল রিয়াল সোসিয়েদাদের। সেখানে খালি হাতে ফিরতে হয়েছে ওরাইজাবালদের।
ঘরের মাঠে শুরু থেকে আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলতে থাকে রিয়াল সোসিয়েদাদ। ম্যাচের শুরু থেকেই আধিপত্য বজায় রেখে আক্রমণ করে সোসিয়েদাদ। ম্যাচের প্রথম মিনিটেই দারুন সেভ বার্সেলোনাকে রক্ষা করেন টার স্টেগান। ম্যাচের সপ্তম তম মিনিটে আবারো বার্সেলোনাকে বাঁচান তিনি। প্রথমার্ধে ৩০ মিনিট পর্যন্ত রিয়াল সোসিয়েদাদের অ্যাটাকের সামনে প্রতিরোধ করতে পারেনি বার্সেলোনা। প্রথমার্ধের শেষ দিকে বল কিছুটা নিজের দখলে রাখতে পারে জাবি হার্নান্ডেসের দল। তবুও আক্রমণের ধার দেখা যায়নি তাদের।
প্রথমার্ধ ০-০ গোলের ব্যবধানেই শেষ হয়। দ্বিতীয়ার্ধে মাঠে ফিরে সেই একই চিত্র। রিয়াল সোসিয়েদাদের অ্যাটাক ও বার্সেলোনা ডিফেন্স। বারবারই বার্সেলোনাকে বাঁচিয়েছেন গোলরক্ষক স্টেগান। পুরো ম্যাচে ছয়টি সেভ করে বার্সেলোনাকে ম্যাচে রেখেছিলেন তিনি। এমন ম্যাচে যেখানে বার্সেলোনার ড্রয় ছিল বড় প্রাপ্তি সেখান থেকেও ৩ পয়েন্ট ফিরতে নিয়ে ফিরতে পেরেছে গাভি ও রবার্ট লেভানডফস্কি।
ম্যাচের শেষ ৫ মিনিট এবং যোগ করার সময় তিন মিনিটে বেশ ভালো আক্রমণ করেছে বার্সেলোনা। ম্যাচের ৯০ তম মিনিটে বার্সেলোনার হয়ে সবচেয়ে বড় সুযোগটি হাত ছাড়া করেন গাভি। গোলকিপারের সঙ্গে এক একের পরিস্থিতিতেও গোল করতে ব্যর্থ হয়েছেন তিনি। তবে ম্যাচে শেষ মিনিটে গোন্দুয়ানের ক্রস থেকে মাথা ছুঁয়ে গোল করেন বার্সেলোনা ডিফেন্ডার আরউহো। যদিও রেফারি গোলটিকে অফসাইড দিয়েছিলেন। আরউহোসহ বার্সেলোনা খেলোয়াড়রা প্রথমে মেনে নিয়েছিলেন গোলটি অফসাইড রুলে বাতিল হবে। ভিএআরের সাহায্যে দেখা যায় আরউহো অনসাইডে ছিলেন গোলটিকে বৈধ হিসেবে ঘোষণা করেন রেফারি। মাঠে উল্লাসে ফেটে পড়েন বার্সেলোনা খেলোয়াড়। এই গোলের মাধ্যমে রিয়াল সোসিয়েদাদের মাঠ থেকে ০-১ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে বার্সেলোনা। এই জয়ে পয়েন্ট তালিকার তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছে বার্সেলোনা। ১২ ম্যাচে আট জয় এক পরাজয় ও তিন ড্রয়ে ২৭ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট তালিকার তৃতীয়তে তারা।