ওয়ানডে সিরিজে ২-১ ব্যবধানে হারার পর টি-টোয়েন্টি সিরিজে ভালো করার প্রত্যয় নিয়ে মাঠে নেমেছিল ইংল্যান্ড। তবে দুই বছর পর জাতীয় দলে ফেরা আন্দ্রে রাসেলের ঝড়ে টি-টোয়েন্টি সিরিজেও পিছিয়ে পড়েছে ইংল্যান্ড। বল হাতে তিন উইকেট নেওয়ার পাশাপাশি ১৪ বলে ২৯ রান করেছেন রাসেল। ম্যাচ সেরার পুরস্কার পেয়েছেন তিনি।
ব্রিজটাউনে টসে জিতে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ অধিনায়ক রোভম্যান পাওয়েল। আগে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা অসাধারণ করেন অধিনায়ক জস বাটলার ও ফিল সল্ট। দুজনে মিলে পাওয়ার প্লেতে যোগ করেন ৭৭ রান। পাওয়ার প্লে’র শেষে ৭৭ রানেই ২০ বলে ৪০ রান করে বিদায় নেন ইংলিশ ওপেনার ফিল সল্ট। তবে ইংল্যান্ড তাদের আগ্রাসি ব্যাটিং চালু রাখে। ৯ বল থেকে ১৮ রান করেন উইল জ্যাকস।
১১ তম ওভারের খেলায় দলীয় ১১৭ রানের আউট হন ইংল্যান্ড অধিনায়ক। আউট হওয়ার আগে ৩১ বলে ৩৭ রান করেন তিনি। এরপরে ইংল্যান্ড দলে উইকেট যাওয়া আসার মিছিল নেমে পড়ে। ইনিংস বড় করতে পারেননি আর কোন ব্যাটসম্যান। লিয়াম লিভিংস্টোনের ১৯ বলে ২৭ রানের ইনিংসেই ১৭১ রানে অলআউট হয় ইংল্যান্ড।
১৭২ রানের লক্ষ্যে ইংল্যান্ডের মতোই আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ৩২ রানে প্রথম উইকেট হারায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। শাই হোপ ও কাইল মায়ার্স ৭ ওভারে ৭৮ রান যোগ করেন। ৭৮ রানেই ব্যক্তিগত ৩৫ রানে ফিরে যান কাইল মায়ার্স। নিকোলাস পুরানও ১৩ রানে ফিরে যান। পুরানের সঙ্গেই ড্রেসিংরুমের পথ ধরেন হেটমায়ার। এরপরে ১২৩ রানে ছয় উইকেট হারাই ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
৩২ বলে ৫২ রান প্রয়োজন ওয়েস্ট ইন্ডিজের। রাসেলের ঝড়ে ১১ বল হাতে রেখেই ৪ উইকেটের জয় পায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। রাসেলকে সঙ্গ দেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ অধিনায়ক রোভম্যান পাওয়েল। ১৫ বলে ৩১ রান করেন তিনি। এই জয় পাঁচ ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে এগিয়ে রইল ওয়েস্ট ইন্ডিজ।