বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত দশটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এরই মধ্যে বিতর্ক ছাড়িয়েছে অন্য সব বিশ্বকাপের তুলনায় অনেক বেশি। দর্শক শূন্যতা, আউটফিল্ড সমস্যা, ভিসা জটিলতা, এবার আবার আম্পায়ারদের ভুল সিদ্ধান্ত।
বিশ্বকাপের প্রথম দিন থেকেই শুরু হয়েছে বিতর্ক। উদ্বোধনী ম্যাচের প্রথম দিনে দেখা যায়নি দর্শক। অনলাইনে টিকিট না থাকলেও গ্যালারিতে দর্শকদের সংখ্যা দেখা যায়নি। এরপর ধর্মশালার আউটফিল্ড নিয়ে শুরু হয় নতুন বিতর্ক। খেলোয়াড়েরা ঠিকমতো বল ধরতে ঝাপাতে পারেননি এই আউটফিল্ডে। এমন মাঠে বিশ্বকাপ ম্যাচ আয়োজন করায় চোটেছেন সাবেক ক্রিকেটাররা। এই বিশ্বকাপের আরও একটি বড় সমস্যা ভিসা জটিলতা। বিশেষ করে পাকিস্তানিরা এই জটিলতায় বেশি ভুগেছেন। টিকিট কেটেও ম্যাচ দেখতে যেতে পারছেন না তারা।
এবার আবার আম্পায়ারদের বাজে সিদ্ধান্তের ফলে বিশ্বকাপের বিতর্ক আরো বাড়ল। অস্ট্রেলিয়া বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচে দুটি এমন সিদ্ধান্ত দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে গিয়েছে যা দেখে চমকে উঠৈছে সবাই। প্রথমটি ছিল স্টিভেন স্মিথের এলবিডব্লিউ উইকেট। খালি চোখে দেখেই মনে হয়েছিল বলটি লেগ স্টাম্পের বাইরে দিয়ে চলে যাবে। অন ফিল্ড আম্পায়াররা সেটিকে নট আউট দিলেও ডিআরএস নেয় দক্ষিণ আফ্রিকান অধিনায়ক। প্রথম অবস্থায় দেখেও সেটিকে নট আউট হিসাবে মনে হয়েছিল।
কিন্তু পরে দেখা যায় লেগ স্টাম্পে অর্ধেক বল লেগছে। যা দেখে চমকে ওঠেন স্টিভেন স্মিথ। তিনি যেন বিশ্বাসই করতে পারছিলেন না যে বলটা স্ট্যাম্পে লেগেছে। কিছুক্ষণ মাঠেই দাঁড়িয়ে গিয়েছিলেন তিনি। অস্ট্রেলিয়ার ড্রেসিংরুম থেকে শুরু করে ধারাভাষ্যকররাও আউটটি নিয়ে হতবাক হয়েছে।
আম্পায়ারদের অন্য ভুলটি ছিল মার্কস স্টয়নিসের কট বিহাইন্ড উইকেটটি। অনফিল্ড আম্পায়াররা এটি কেও নট আউট দিয়েছিলেন। এই উইকেটে সবচেয়ে বেশি বিতর্ক বেড়েছে। কাগিসো রাবাডার লেগ স্টাম্পের বল অন সাইডে খেলতে গিয়ে ডান হাত ব্যাট থেকে ছুটে যায় স্টয়নিসের। সেই ডান হাতে বল স্পর্শ করেছে কিনা সেটাও ঠিক মতো বোঝা যায়নি। তবে স্ট্যাম্প মাইকে আওয়াজ পাওয়ায় তৃতীয় আম্পায়ার সেটাকে আউট দিয়েছেন।
কিন্তু ব্যাটের থেকে ডান হাতটি অনেক দূরে অবস্থান করছিল এমন অবস্থায় নট আউট দেওয়ার কথা ছিল আম্পায়ারের। তবে সেটিকে আউট দিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি করেছেন আম্পায়াররা।