২০১৯ বিশ্বকাপের ১০ ম্যাচের একটিতেও জিততে পেরেছিল না আফগানিস্তান দল। ২০২৩ সালের বিশ্বকাপটের শুরুটাও যাচ্ছেতাই করেছিল রশিদ খানরা। বাংলাদেশের বিপক্ষে পাত্তা পায়নি আফগানিস্তান। বাংলাদেশের বিপক্ষে ছয় উইকেটের হার বরণ করে নিয়েছিল তারা। দ্বিতীয় ম্যাচেও ভারতের বিরুদ্ধে ৮ উইকেটের হার।
২০১৯ সালের দুঃস্বপ্নটা আবারও ঘনিয়ে আসছিল ২০২৩ সালের বিশ্বকাপে। তবে তৃতীয় ম্যাচে গিয়ে আফগানিস্তান ঘুরে দাঁড়ায়। ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডকে ৬৯ রানে পরাজিত করে আফগানিস্তান। সেই ম্যাচটি শুধুমাত্র যে অঘটন ছিল না তার প্রমাণ দিতেও খুব বেশি দেরি করেনি আফগানিস্তান। চতুর্থ ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের কাছে হেরে টানা তিন ম্যাচ পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা ও নেদারল্যান্ডকে হারায় আফগানিস্তান। সেমিফাইনালে ওঠার লক্ষ্যের দ্বারপ্রান্তে গিয়ে দাঁড়ায় আফগানিস্তান।
অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধেও ভালো লড়াই করেছিল আফগানরা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ম্যাক্সওয়েলের অতিমাণবীয় ইনিংসে শেষ রক্ষা পায়নি তারা। শেষ ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে হেরে স্বপ্নভঙ্গ হয় তাদের। বিশ্বকাপে শেষ পর্যন্ত ৯ ম্যাচ থেকে ৪ জয়ে ৮ পয়েন্ট নিয়ে ষষ্ঠ স্থানে থাকে মোহাম্মদ নবী রশিদ খানরা। বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে ওঠার লক্ষ্য পূরণ না হওয়ার জন্য তারা বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচকে দ্বায় করতেই পারে। বিশ্বকাপের মাঝেই আফগান অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার মোহাম্মদ নবী বলেছিলেন, “বাংলাদেশের বিপক্ষে হারাটা মোটেও উচিত হয়নি আমাদের।”
মোহাম্মদ নবীর এমন কথার বলার যুক্তিও ছিল বেশ। কারণ প্রথম ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে জয়ের পর বিশ্বকাপে টানা ৬ ম্যাচে জয়হীন ছিল বাংলাদেশ দল। নিজেদের অষ্টম ম্যাচে গিয়ে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে দ্বিতীয় জয় পেয়েছিল বাংলাদেশ দল। তাই বাংলাদেশের বিপক্ষে দুই পয়েন্ট না পাওয়াটা ব্যর্থতার খাতায় যোগ হবে আফগানিস্তানের জন্য।
এবার সেই হারের কারণ ব্যাখ্যা করেছেন সাবেক ইংলিশ ব্যাটার ও আফগান প্রধান কোচ জনাথন ট্রট। ইএসপিএনক্রিকইনফো কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, “বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচটা আমাদের বাজে কেটেছিল। নিজেদের ওপর বেশি চাপ তৈরি করে ফেলেছিলাম প্রথম ম্যাচে। এজন্যই আমরা ব্যর্থ হয়েছি।”