২০২৩ এশিয়া কাপটা ভালো যায়নি বাংলাদেশ দলের। প্রথম ম্যাচেই শ্রীলংকার বিরুদ্ধে পাঁচ উইকেটের হার দিয়ে এশিয়া কাপের যাএা শুরু করেছিল টাইগাররা। পরের ম্যাচে অবশ্য আফগানিস্তানের সাথে ঘুরে দাঁড়িয়ে ৮৯ রানের জয় পেয়েছিল বাংলাদেশ। এই জয়ে সুপার ফোর নিশ্চিত করেছিল তারা।
সুপার ফোরে উঠে শ্রীলঙ্কা এবং পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ম্যাচ হেরে এশিয়া কাপ থেকে ছিটকে গিয়েছিল সাকিবরা। শেষ ম্যাচটা ভারতের সঙ্গে ছিল নিয়ম রক্ষার ম্যাচ।
ভারতের বিপক্ষে যে কোন ম্যাচই নিয়ম রক্ষার ম্যাচ হবে না তা ভালোই জানতো টাইগার বাহিনী। বাংলাদেশ লড়াই চালিয়েছে শেষ পর্যন্ত। ম্যাচও জিতে নিয়েছে ৬ রানে।
এদিন রোহিত শর্মা টসে জিতে ব্যাটে আমন্ত্রণ জানায় বাংলাদেশকে। ৫৯ রানে ৪ উইকেটে হারিয়ে বিপদে পড়ে বাংলাদেশ। সেখান থেকে ১০১ রানের পার্টনারশিপ গড়েন তাওহিদ হৃদয় ও সাকিব আল হাসান। সাকিব করেন ৮৫ বলে ৮০, হৃদয় করেন ৮১ বলে ৫৪ রান।
শেষ দিকে ১৯৩ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে আবারো চাপে পড়ে বাংলাদেশ। শেখ মাহেদী এবং নাসুম আহমেদের ইনিংসে বড় পূজির দিকে এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। নাসুম করেন ৪৪ এবং মাহেদী করেন অপরাজিত ২৯। শেষ পর্যন্ত তানজিম সাকিবের ৮ বলে ১৪ রানের ইনিংসে ভর করে বাংলাদেশ ২৬৫ রানের পুঁজি পায়।
দ্বিতীয় ইনিংসের শুরু থেকেই চাপে থাকে ভারত। তানজিম শাকিবের প্রথম দুই বলেই সাজ ঘরে ফিরে যান রোহিত শর্মা। একের পর এক উইকেট যাওয়া আসার মিছিলে বাংলাদেশের জয়ের বাধা হয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন শুভমান গিল। ১৩৩ বলে করেন ১২১ রান। গিলকে সঙ্গ দেন অক্ষর পাঠেলও।
৩৪ বলে ৪২ রান করে ভারতকে জয়ের বন্দরে নিচ্ছিলেন তিনি। তবে মোস্তাফিজের দারুন বোলিংয়ে শেষ পর্যন্ত ৬ রানের জয় পেয়েছে টাইগাররা। এই জয়ের মাধ্যমে ২০১২ সালের পর এশিয়া কাপে প্রথম কোন ম্যাচে ভারতকে হারালো বাংলাদেশ।