বিশ্বকাপ প্রস্তুতির জন্য বড় এক মঞ্চ এই নিউজিল্যান্ড সিরিজ, মোটা দাগে ব্যাটসম্যানদের জন্য। বাংলাদেশ দলের এশিয়া কাপের একের পর এক ব্যাটিং ব্যর্থতার পর কিছু কিছু পজিশনে ব্যাটারদের ফর্মে ফেরা এবং সঠিক ব্যাটিং কম্বিনেশন খুঁজে পেতে এই সিরিজটাকে বেশ গুরত্ব সহকারেই ধরা হচ্ছিলো শুরু থেকেই।
কিন্তু নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে যে ধরনের উইকেটে খেলা হচ্ছে সেখানে ব্যাটসম্যানরা কতটা ভাল প্রস্তুতি নিতে পারবে সেটা নিয়ে খটকা লাগার সূযোগ আছে। বৃষ্টির কারণে বাড়তি আদ্রতা পেসারদের সহায়তা করেছে শুরু থেকেই। মুস্তাফিজুর রহমান শুরুতেই দুই উইকেট নিয়েছেন।
চোখে লেগেছে মূলত নাসুম আহমেদের বোলিং। নাসুমের বেশির ভাগ ডেলিভারি নিউজিল্যান্ডের ব্যাটাররা খেলতেই পারছেন না টার্ন এর কারনে। রিপোর্টটা লেখার সময় কিউই ব্যাটাররা ১৫ ওভার শেষে রান করতে পেরেছেন ৪৯ এর মত। বৃষ্টির কারনে ওভার কমেছে, ৪২ ওভারের ম্যাচে দরকার হলেও হাত খুলতে পারছেন না কিউই ব্যাটাররা।
তামিম ইকবাল এই সিরিজ দিয়ে আবারো ফিরছেন। মাহমুদউল্লাহ্ রিয়াদ এর জন্য বড় পরীক্ষা কিংবা সৌম্য সরকার কতটা ভাল করতে পারেন এই সবকিছুর উত্তর খুঁজতে যে ওয়ানডে গুলোর তাকিয়ে সবাই সেখানে উল্টো ব্যাটসম্যানদের জন্য প্রতিকূল উইকেট কতটা সাহায্য করবে সেটা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
সাত নম্বর পজিশনে কে বিশ্বকাপে যাচ্ছেন, তামিম ইকবাল কিভাবে ফিরছেন কিংবা লিটন দাস কতটা ভাল ফর্ম নিয়ে বিশ্বকাপে যেতে পারছেন এমন প্রশ্নগুলোর উত্তর যে সিরিজে খোঁজা হচ্ছে সেখানে প্রতিপক্ষ বিবেচনা করে চেনা মিরপুরের টিপিক্যাল উইকেট কতটা বিশ্বকাপ প্রস্তুতিতে সাহায্য করবে সেটা এক বড় প্রশ্ন। এই ধরণের উইকেটে এর আগেও টিটোয়েন্টিতে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ জিতেছে বাংলাদেশ কিন্তু এরপরই বিশ্বকাপে গিয়ে ভরাডুবি দেখতে হয়েছে।