২০১৮ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত ঘরের মাঠে ওয়ানডে ক্রিকেটে প্রতিরোধ্য ছিল বাংলাদেশ দল। টানা সাতটি দ্বিপাক্ষিক সিরিজ জিতে নিয়েছিল বাংলাদেশ। ঘরের মাঠে যেন হারতে ভুলে গিয়েছিল সাকিব, তামিমরা।
তবে ২০২৩ সালে এসে যেন সবকিছু উল্টে পাল্টে গেল। ঘরের মাঠে চার ওয়ানডে সিরিজের মধ্যে তিনটিতে হেরেছে বাংলাদেশ। ইংল্যান্ড, আফগানিস্তান এবং সর্বশেষ নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে হেরেছে বাংলাদেশ।
এই সকল সিরিজ হারের দ্বায় সে সময়ের অধিনায়ক তামিম ইকবালের ওপর চাপিয়েছে বর্তমান অধিনায়ক সাকিব। আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ম্যাচে হঠাৎ করে অবসরের সিদ্ধান্ত নেন তামিম। বিশ্বকাপে তিন মাস আগে কোন অধিনায়কের এমন সিদ্ধান্ত পরেই তামিমের দায়িত্ববোধ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। টি-স্পোর্টসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তামিমের ব্যাপারে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।
সাকিব আল হাসান বলেছেন,”বিশ্বের কোথাও অন্তত দেখিনি যে এক ম্যাচ পরেই এ রকম অধিনায়ক এসে আবেগী হয়ে বলে ফেলে যে, “আমি ভাই খেলব না আর ক্রিকেট”। এটা আমি আমার জীবনে প্রথমবার দেখলাম। আমার ধারণা, কোনো অধিনায়কের যদি দায়িত্ববোধ থাকত, সে এটা করতে পারত না। আমার কাছে মনে হয়েছে এটা দলকে অনেক বাজে একটা পরিস্থিতিতে ফেলে দিয়েছে এবং আমার মনে হয় ওইটাই এখনো কাটিয়ে উঠতে সময় লাগছে। যেটা আমার কাছে মনে হয়।”
সাকিব বিশ্বকাপ ভাবনা সম্পর্কে বলেছেন”এবারের বিশ্বকাপে তাঁর কাছে বোর্ডের কোনো প্রত্যাশা নেই। ‘নিজের উদাহরণ দিই, এশিয়া কাপের আগে আমাকে বলে দেওয়া হয়েছে, “এই দল, তুমি বানাও। এশিয়া কাপ বিশ্বকাপে প্রত্যাশা নাই।” পাপন ভাইও সাক্ষাৎকারে বলেছে। আমি সেভাবেই চেষ্টা করে যাচ্ছি। দেশের মাটিতে আমাদের ভালো দল। আমরা পরের বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সুযোগ নিতেই পারি, যেহেতু ওয়েস্ট ইন্ডিজ-আমেরিকায় খেলা। সেখানকার উইকেট আমাদের সঙ্গে যায়। ভালো দল করতে পারব।”
সাকিব আরো যোগ করেছেন, “আমার মনে হয় ২০১৯ সালের বিশ্বকাপের পর দলের অধিনায়ক সহ অধিনায়ক সহ দলের সম্ভাব্য সবকিছু ঠিক হয়ে যাওয়া উচিত ছিল।”