আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে ৬ উইকেটের বড় জয় দিয়ে বিশ্বকাপ যাত্রা শুরু করেছিল বাংলাদেশ। অপরদিকে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে বিধ্বস্ত ভাবে ৯ উইকেটে হেরে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে খেলতে নেমেছিল ইংল্যান্ড। তাই ম্যাচের আগে বেশি আত্মবিশ্বাসী ছিল বাংলাদেশ দল।
কিন্তু ম্যাচে সেই আত্মবিশ্বাস কাজে লাগাতে পারেনি বাংলাদেশ দল। বরং ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ১৩৭ রানের বড় ব্যবধানে হেরেছে সাকিব মুশফিকরা। ধর্মশালায় টসে জিতে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। এরপরে ইংল্যান্ডের আগ্রাসি ব্যাটিংয়ের সামনে দাঁড়াতে পারেনি বাংলাদেশের কোন বোলাররা।
ওপেনিং জুটিতে ডেভিড মালান ও জনি ব্যারিস্টো যোগ করেন ১১৫ রান। ৬৪ রানে ব্যারিস্টো ফিরে গেলেও ১৪০ রানের বিধ্বংস ইনিংস খেলেছেন মালান। মালানকে সঙ্গে দিয়ে ৮২ রানের ইনিংস খেলেছেন জো রুট।তাদের তিনজনের দারুন ইনিংসে ৪০০ রানের কাছাকাছি যাওয়ার সম্ভাবনা জেগেছিল ইংল্যান্ড দলের। কিন্তু শেষ দশ ওভারে বাংলাদেশ দল ভালো বোলিং করে ৩৬৪ রানে আটকে দেয় ইংল্যান্ডকে। মাহেদি পেয়েছেন ৪ উইকেট, শরিফুল ৩ টি ও ১ টি করে উইকেট পেয়েছেন তাসকিন ও সাকিব।
বাংলাদেশকে ম্যাচটি জিততে হলে ইনিংসের শুরুটা বেশ ভালোভাবে করতে হতো দুই ওপেনারকে। লিটন দাস সেই লক্ষ নিয়ে প্রথম ওভারে তিনটি চার মেরে রানের খাতা খুলেছিলেন। তবে ওভারেই রিচ টপলির বলে স্লিপে ক্যাচ দিয়ে আউট হন ওপেনার তানজিদ তামিম। তামিমের সঙ্গে ড্রেসিংরুমের রাস্তা ধরেন নাজমুল হোসেন শান্ত। এক বল থেকে শূন্য রান করে পয়েন্ট অঞ্চলে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন তিনি।
বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসানও ৯ বলে ১ রান করেছেন। সাকিব আউট হওয়ার পরে বাংলাদেশের জয়ের আশা ক্ষীণ হয়ে যায়। এরপরে বাংলাদেশ যা করতে পারতো তা শুধু রানের ব্যবধান কমানো।
সেটাই চেষ্টা করছিলেন লিটন দাস ও মুশফিকুর রহিম। তবে তারা দুজনও বেশি দূর পর্যন্ত যেতে পারেননি। লিটনের ৬৬ বলে ৭৬ ও মুশফিক করেছেন ৬৪ বলে ৫১ রান। শেষ পর্যন্ত তাওহীদ হৃদয়ের ৩৮ রানের ফলে বাংলাদেশ ২২৭ রানে পৌঁছায়। বড় ব্যবধানে হেরে রানরেটে বেশ পিছিয়ে পড়ল সাকিব আল হাসানের দল।