বিশ্বকাপে যাওয়ার আগে “টি স্পোর্টসকে’ দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে অনেক কিছুই খোলাসা করেছিলেন বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। সেখানে সাকিব আল হাসান বলেছিলেন, মার্চ মাসে ইংল্যান্ড সিরিজের পরে মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদুল্লাহ রিয়াদকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বাংলাদেশ দলের প্রধান কোচ হাথুরুসিংহে।
তবে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে সিরিজের শেষ ম্যাচে মুশফিকুর রহিম ৭০ রান পাওয়ায় তাকে আর বাদ দিতে পারেননি কোচ। তবে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ পারফর্ম করতে পারেননি। যার ফলে ইংল্যান্ড সিরিজের পর থেকে আর বাংলাদেশ দলে জায়গা হয়নি তার। এশিয়া কাপের দলেও ছিলেন না তিনি। এশিয়া কাপে তরুণদের ব্যর্থতায় বিশ্বকাপের আগে নিউজিল্যান্ড সিরিজে হঠাৎ করেই আবির্ভূত হন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। সেখানে সুযোগ পেয়ে মোটামুটি পারফরম্যান্স করে বিশ্বকাপ দলে জায়গা করে নেন।
বিশ্বকাপ দলে এসে নিজের অভিজ্ঞতার প্রমাণ দিচ্ছেন মাহমুদুল্লাহ। আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে ব্যাটিং বা বোলিং করার খুব সুযোগ পাননি তিনি। দ্বিতীয় ম্যাচে একাদশে রাখা হয়েছিল না তাকে। তৃতীয় ম্যাচে ফিরে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে অপরাজিত ৪৯ বলে ৪১ রানের সংগ্রহের ফলেই সম্মানজনক স্কোর করতে পারে বাংলাদেশ।
আরেক ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিমও তার অভিজ্ঞতার প্রমাণ দিচ্ছেন বিশ্বকাপ মঞ্চে। প্রথম ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ব্যাটিংয়ের তেমন সুযোগ পাননি তিনি। সে ম্যাচে অপরাজিত ৩ বল থেকে ২ রান করেন। দ্বিতীয় ম্যাচে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে লড়াই চালিয়ে ছিলেন মুশফিক। ৩৬৫ রানের বিশাল সংগ্ৰহ তাড়া করতে নেমে ৪৯ রানে চার উইকেট হারানো বাংলাদেশকে টেনে তোলেন তিনি। বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ ৫১ রান করেন। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষেও একাই লড়াই করেছেন মুশফিক। এদিনও বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ ৬৪ রান করেছেন যার ফলে ২৪৫ রানের সংগ্রহ পায় বাংলাদেশ।