৩৮৩ রানের লক্ষে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ৮১ রানে ৬ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। এ সময় শঙ্কা জেগেছিল ১৫০ রানের আগে অলআউট হবে বাংলাদেশ। তবে শেষ পর্যন্ত সেটি করতে পারেনি দক্ষিণ আফ্রিকা। আসলে করতে পারেনি বললে ভুল হবে, করতে দেয়নি মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ।
উইকেটে একাই দাঁড়িয়ে সেঞ্চুরি আদায় করে নিয়েছেন তিনি। বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশী ব্যাটসম্যানদের ৬ নম্বর সেঞ্চুরি এটি। ৬ সেঞ্চুরির মধ্যে তিনটি এসেছে মাহমুদুল্লাহর ব্যাট থেকে। মাহমুদুল্লাহর ইনিংসে হয়তো বাংলাদেশ জেতেনি। তবে তার ইনিংস বাংলাদেশি ক্রিকেট দর্শকদের হৃদয় জয় করে নিয়েছে।
বাংলাদেশী লোয়ার অর্ডার ব্যাটসম্যানদের সঙ্গে পার্টনারশিপ গড়েছেন মাহমুদুল্লাহ। সবচেয়ে বড় জুটি গড়েছেন মুস্তাফিজুর রহমানের সঙ্গে। দুজনে মিলে যোগ করেছিলেন ৬৮ রান। দলীয় ২২৭ এবং ব্যক্তিগত ১১১ রানে বাংলাদেশের নবম উইকেট হিসেবে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ফিরে গেলে ২৩৩ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। ১৪৯ রানে হেরেছে বাংলাদেশ দল। বড় ব্যবধানে হারলেও মাহমুদুল্লাহর ইনিংসের কৃতিত্ব কম নয়।
মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে টসে জিতে ব্যাটিংয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকা অধিনায়ক ইডেন মার্করাম। ৩৬ রানেই ২ উইকেট হারিয়ে ফেলেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। তবে সেখান থেকে কুইন্টেন ডিকক এবং মার্করাম ১৩১ রানের জুটি গড়েন। মারর্কাম ৬০ রানে ফিরে গেলেও বিধ্বংসী ইনিংস খেলেতে থাকেন ডিকক। ডিকক খেলেন ১৪০ বলে ১৭৪ রানের ইনিংস। ডিকককে যোগ্য সঙ্গ দেন হ্যাংরি ক্লাসেন ও ডেভিড মিলার। ক্লাসেন খেলেন ৪৯ বলে ৯০ রানের ইনিংস। শেষ দিকে মিলারের ১৫ বলে ৩৪ রানের ইনিংসের ফলেই ৩৮২ রানের বিশাল সংগ্রহ পায় দক্ষিণ আফ্রিকা।