বাংলাদেশ বনাম নিউজিল্যান্ডের মধ্যকার দ্বিতীয় ম্যাচের আগে সবচেয়ে আলোচনার বিষয় ছিল মিরপুরের উইকেট। সেই আলোচনা যে মিথ্যে ছিল না তার প্রমাণ মিলেছে প্রথম দিনেই। স্পিন ঘূর্ণিতে দুই পক্ষের ক্রিকেটাররা ব্যাট হাতে ক্রিজে দাঁড়াতে পারেননি। দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম দিনেই ১৫ উইকেট দেখেছে মিরপুরের দর্শকেরা। যার বেশিরভাগ উইকেটে এসেছে স্পিনারদের হাত ধরে।
১৫ উইকেটের ১৩ টি এসেছে স্পিনারদের থেকে। একটি নিয়েছেন নিউজিল্যান্ড পেস বোলার টিম সাউদি অন্যটি মুশফিকুর রহিমের ‘অবস্ট্রাকটিং দ্য ফিল্ড’। এভাবে স্পিনাররা দাপট দেখিয়েছেন মিরপুরের উইকেটে। মিরপুর টেস্টের প্রথম দিনে মোট ৭৯ ওভার ব্যাটিং করে দুই দল যোগ করেছে ২২৭ রান। ওভার প্রতি রানরেট মাত্র ২.৮৮। যার ফলে দ্বিতীয় দিনেই ম্যাচ শেষ হওয়ার সম্ভাবনা জেগেছে।
মিরপুরে আগে টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। প্রথম সেশনে চার উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে বাংলাদেশ দল। সেখান থেকে মুশফিকুর রহিম ও শাহাদাত হোসেন দিপু বড় জুটি করার চেষ্টা করেন। দুজনে মিলে ৫৭ রান যোগ করেছিলেন। এরপরেই বাংলাদেশ ইনিংসে ঘটে সেই অঘটনটি। জ্যামিশনের বল হাত দিয়ে আটকে ‘অবস্ট্রাকটিং দ্য ফিল্ডে’ আউট হন মুশফিকুর রহিম। দলীয় ১০৪ এবং ব্যক্তিগত ৩৫ রান করে সাজঘরে ফেরেন মুশফিক। মুশফিকের আউটের পর কোন ব্যাটসম্যান ক্রিজে থিতু হতে পারেননি। ১৭২ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ দল।
নিউজিল্যান্ড তাদের ইনিংস কিছুটা আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতেই শুরু করে। তবে দলীয় ২০ রানে ফিরতে হয় কনওয়েকে। প্রথম উইকেট হারানোর পরেই যেন উইকেট হারানোর মিছিল পড়ে যায় নিউজিল্যান্ড দলে। ৪৬ রানে ফিরে যায় নিউজিল্যান্ডের ৫ ব্যাটসম্যান। ৫৫ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে প্রথম দিনের খেলা শেষ করেছে নিউজিল্যান্ড। আগামীকাল নিউজিল্যান্ডের দুই আগ্রাসী ব্যাটসম্যান ড্যারি মিচেল ও গ্ল্যান ফিলিপস দ্বিতীয় দিনের খেলা শুরু করবেন। বাংলাদেশের পক্ষে মেহেদী হাসান মিরাজ নিয়েছেন ৩ উইকেট ও তাইজুল ইসলাম ২ উইকেট।