বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত ৭ ম্যাচ খেলে ব্যাটিং বিপর্যয় আটকাতে পারেনি বাংলাদেশ দল। প্রথম দশ ওভারেই দুই থেকে তিনটি উইকেট প্রায় প্রতি ম্যাচেই হারিয়েছে বাংলাদেশ। যার ফলে বড় লক্ষ গড়তে বা বড় লক্ষ তাড়া করতে পারেনি তারা। বিশ্বকাপে আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে জয় ছাড়া পরবর্তী ছয় ম্যাচে পরাজয় বরণ করেছে বাংলাদেশ। আর প্রতি ম্যাচ শেষেই সাক্ষাৎকারে ব্যাটিং বিপর্যয় নিয়ে কথা বলতে হয় বাংলাদেশ অধিনায়ককে।
গতকাল পাকিস্তানে বিপক্ষে বাংলাদেশ দলের সেই একই চিত্র দেখা গেছে। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ২৩ রানে ৩ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। এরপরে ২০৪ রানে অলআউট হয় সাকিব আল হাসানরা। পাকিস্তান অনায়াসে ৭ উইকেটের জয় পায়। ম্যাচ শেষে বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসানকে আবারো ব্যাটিং বিপর্যয় নিয়ে কথা বলতে হয়।
ম্যাচ শেষের সাক্ষাৎকারে সাকিব বলেন, “উইকেট বেশ ভাল ছিল। তবে আমরা প্রথম দশ ওভারেই ৩/৪ উইকেট হারিয়ে ফেলেছিলাম। সেখান থেকেই আমরা বড়ো জুটি করার চেষ্টা করেছি। তবে খুব বেশি দূর যেতে পারিনি। ব্যাটিং নিয়ে বেশ হতাশা আমি। আমাদের বোলিংও যে খুব ভালো হয়েছে তেমন নয়। পাকিস্তান প্রথম দশ ওভারে যেভাবে ব্যাটিং করেছে কৃতিত্বটা তাদেরই দিতে হয়।”
প্রত্যেক ম্যাচ শেষেই সাকিব আল হাসানকে ব্যাটিং বিপর্যয়ের একই ব্যাখ্যা দিতে হয়। এর মূল কারণ এখনো খুঁজে বের করতে পারছে না বাংলাদেশ দল। বিশ্বকাপের ৭ ম্যাচের মধ্যে ভারতের বিপক্ষেই শুধুমাত্র বাংলাদেশের দুই ওপেনার হাফ সেঞ্চুরি তুলতে পেরেছিলেন। তবুও তারা দুজন ইনিংসটাকে বড় করতে পারেননি। ব্যাটিং ব্যর্থতায় বাংলাদেশকে বিশ্বকাপ মঞ্চে ভুগিয়েছে।