সাকিব আল হাসান বাবু৮৮ নামক বেটিং প্রতিষ্ঠানের সরাসরি অ্যাম্বাসেডর বলে খবর প্রচারিত হচ্ছে। কিন্তু ব্যাপারটা আসলে কি সেরকম? হিসাব অনুযায়ী ব্যাপারটা সরাসরি যু্ক্ত না হবার সম্ভবনা সবথেকে বেশি। সাকিব কানাডাতে যে দলের হয়ে লিগ খেলতে গিয়েছেন সে দলের নাম মনট্রিয়াল টাইগার্স।
দলটির প্রধান স্পন্সর ঐ বেটিং প্রতিষ্ঠান৷ সাধারনত এই সব ফ্রাঞ্জইজি লিগগুলোতে খেলার সময় সব ক্রিকেটাররা ঐ ফ্রাঞ্জইজির সাথে চুক্তিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন করার জন্য নীতিগত ভাবে চুক্তিতে থাকেন। তবে ক্রিকেটাররা অবশ্যই নির্দিষ্ট ঐ দলের ব্যানারেই বিজ্ঞাপনগুলোতে অংশগ্রহন করেন। সে কারনে হয় ঐ দলের জার্সি কিংবা পতাকা হাতে বিজ্ঞাপনে অভিনয় করেন ক্রিকেটাররা।
তাতে করে ঐ ক্রিকেটারদের ব্যক্তিগত চুক্তি কিনা সেটা নিশ্চিত করা যায়। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ – বিপিএল খেলতে এসেও আফ্রিদি, রাসেলরা স্ব স্ব দলের স্পন্সরদের বিজ্ঞাপনে অভিনয় করেছেন। এটি চুক্তির অংশ৷ সাকিব আল হাসানও ঠিক একইভাবে ঐ দলটির স্পন্সর হিসেবে ঐ বেটিং প্রতিষ্ঠানের সাথে বিজ্ঞাপনে কাজ করেছেন। সাকিবের সাথে অন্য ক্রিকেটারদেরও উপস্থিতি দেখা গিয়েছে।
চুক্তির ধরন ভেদে সাধারণত ঐ স্পন্সর প্রতিষ্ঠানগুলো পরবর্তী নতুন সিজন আসা পর্যন্ত ঐ বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করতে পারেন। তবে অবশ্যই ক্রিকেটার চাইলে সে বিজ্ঞাপন বর্জন করতেই পারেন। এমনকি জার্সিতে বিজ্ঞাপন বাদেও তিনি খেলতে নামতে পারেন। সেক্ষেত্রে চুক্তিতে কিছুটা কম অর্থ নেবার শর্ত থাকে।
বাংলাদেশের প্রচলিত আইনে জুয়া সংক্রান্ত সবকিছুই নিষিদ্ধ। জুয়া খেলা, প্রচার ও প্রসার আইনত নিষিদ্ধ এ দেশে। সেই সাথে বাংলাদেশের সংস্কৃতিকে সম্মান রেখে সাকিব আল হাসান এই ধরনের বিজ্ঞাপন থেকে নিজেকে গুটিয়ে রাখতেই পারতেন। কিন্তু তিনি করেননি। এটি নিশ্চিতভাবেই সাকিবের নীতিকে নীচু বলেই প্রমাণ করে।
বাংলাদেশ সরকার এ ব্যাপারে খু্ব নির্দিষ্ট করে আইন না রাখলেও জুয়ার সাথে সংশ্লিষ্টতা থাকাতে অনেকেই আইনের আওতায় এসে শাস্তি পেয়েছেন। সাকিবের ক্ষেত্রে হয়তবা তেমন কিছু হবে না৷ তবে দেশের পোস্টারবয় খ্যাত বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার খু্ব ভালো স্টেটমেন্ট সেট করেননি সেটা নিশ্চিত। সাকিব কি সেটা বোঝেন আদৌও?