বিশ্বকাপের আগে বাংলাদেশের পেস বোলিং ইউনিটের সবচেয়ে ভরসাযোগ্য নাম ছিল তাসকিন আহমেদ। তবে বিশ্বকাপে নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি এই পেস বোলার। বিশ্বকাপের প্রথম তিন ম্যাচ খেলে উইকেট পেয়েছেন মাত্র দুইটি।
পরের দুই ম্যাচ ভারত এবং দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে কাঁধের ইনজুরির জন্য খেলতে পারেননি তাসকিন আহমেদ। আগামীকাল নেদারল্যান্ড বনাম বাংলাদেশ ম্যাচে তাসকিন আহমেদের ফেরার প্রবল সম্ভবনা রয়েছে। ইডেন গার্ডেন্সে মাঠে নামার আগেই আজ সংবাদ সম্মেলনে এসেছিলেন তাসকিন আহমেদ। সেখানেই তিনি বলেছেন, তিনি এখন সুস্থ আছেন আগামীকাল মাঠে নামার জন্য প্রস্তুত তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে এসে তাসকিন বলেছেন, “কাঁধে চোট পেয়েছিলাম দু’বছর আগে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজে। অনেক আগে থেকেই টেন্ডনে একটু টিয়ার (ছেঁড়া) আছে। এই সমস্যাটা ম্যানেজ করেই সব সময় মাঠে নামি। এশিয়া কাপ ও বিশ্বকাপে ব্যথা ম্যানেজ করে খেলেছি। তবে হঠাৎ করেই ব্যথা একটু বেশি বেড়ে গিয়েছিল। ডাক্তার ও ফিজিওরা এমআরআই করে দেখে ভিতরে কিছুটা ফুলে গেছে। এজন্যই তারা সিদ্ধান্ত নেন কিছুদিন বিশ্রামের। এখন মনে হচ্ছে খুব ভালো অবস্থায় আছি। ম্যাচ খেললে বোঝা যাবে কেমন পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছি আমি।”
তবে ম্যানেজ করে খেললে শতভাগ তাসকিনকে পাওয়া যাবে না। ব্যাপারটা নিজেও জানেন তাসকিন। এজন্যই সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেছেন, “আমাকে যখন কাঁধের ইনজুরির জন্য ইংল্যান্ডে পাঠানো হয়েছিল। ডাক্তার বলেছিল ঠিক হবে কি, হবে না এর কোন গ্যারান্টি নেই। সে বলেছিল ঠিক হতে এক বছরেরও বেশি সময় লাগবে। সে আমাকে আরেকটি অপশন দিয়েছিল সেটি হল পুনর্বাসন। পরে দেড় মাসের পুনর্বাসন শেষ করেই আল্লার অশেষ রহমতে এখন পর্যন্ত খেললাম। এখন ব্যথাটা একটু বেড়ে গেছে। বিশ্বকাপের পরে হয়তো আবারোও পুনর্বাসনে যাওয়ার কথা চিন্তা করবে বোর্ড। অস্ত্রোপচার হয়তো শেষ অপশন হবে। তবে পেস বোলারদের সবারই ছোটখাটো কিছু ইনজুরি থাকে সেগুলো ম্যানেজ করে খেলতে হয় তাদের।”