অস্ট্রেলিয়ার ঘরের মাঠে তিন ম্যাচ টেস্ট সিরিজের প্রথম ম্যাচে ৩৬০ রানে হেরেছে পাকিস্তান। ৪ পেস বোলার দিয়ে সাজানো পাকিস্তানের বোলিং অ্যাটাককে পুরোপুরি বিধ্বস্ত করে দেয় অস্ট্রেলিয়া ব্যাটসম্যানরা। প্রথম ইনিংসেই ৪৮৭ রান যোগ করে অস্ট্রেলিয়া। অস্ট্রেলিয়া দ্বিতীয় ইনিংসেও ২৩৩ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ইনিংস ঘোষণা করে।
অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে হরহামেশাই পেস বোলাররা অতিরিক্ত সাহায্য পেয়ে থাকে। কিন্তু পাকিস্তানি বোলারদের ক্ষেত্রে সেটি দেখা যায়নি। তাছাড়াও বোলারদের গতি দেখেও কিছুটা চিন্তিত পাকিস্তানের সাবেক পেস বোলার ওয়াকার ইউনুস। পাকিস্তান সব সময় জোরে বোলারদের জন্য বিখ্যাত। ওয়াসিম আকরাম, ওয়াকার ইউনুস, শোয়েব আখতার, ওমর গুল সকলের গতি ছিল ঘন্টায় ১৫০ কিলোমিটারের আশেপাশে।
তবে সম্প্রীতি পাকিস্তানি বোলারদের সেই গতি লক্ষ্য করা যায় না। শাহিন শাহ আফ্রীদি, হারিস রউফ, নাসিম শাহ বর্তমানে এই তিনজন পেস বোলারই পাকিস্তান দলের মূল অস্ত্র। তারাও ঘন্টায় ১৫০ কিলোমিটারে বল করতে সক্ষম। কিন্তু ইনজুরি থেকে ফিরে শাহিন শাহ আফ্রিদি নিজের হারানো ফর্ম ফিরে পায়নি। অন্যদিকে ইনজুরির জন্য অস্ট্রেলিয়া সিরিজে নেই নাসিম শাহ। তাছাড় টেস্ট খেলতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন হারিস রউফ। এজন্যই পাকিস্তানের নতুন বোলারদের গতির ঝড় না দেখে হতাশ হয়েছেন ওয়াকার ইউনুস।
ইএসপিএনক্রিকইনফোতে একটি সাক্ষাৎকার দেওয়ার সময় ওয়াকার বলেন, “আমি জানি আমাদের অনেক খেলোয়ার ইনজুরিতে। তবে আমার উদ্বেগের কারণ হচ্ছে, এখন ঘরোয়া ক্রিকেটেও জোরে বোলারদের আমরা দেখতে পাচ্ছি না। আগে আমরা ঘরোয়া ক্রিকেটে ১৫০ কিলোমিটার গতিতে বল করা বোলার দেখতে পেতাম তবে সেটি আর এখন লক্ষ্য করা যায় না।”
তিনি আরো যোগ করেন, “আমরা যখনই অস্ট্রেলিয়াতে খেলতে আসি পেস বোলাররা বড় ভূমিকা পালন করে থাকে। সবাই পেস বোলারদের গতি দেখার জন্য মুখিয়ে থাকে। কিন্তু এই সিরিজে পাকিস্তানি বোলারদের থেকে সেটি দেখা যাচ্ছে না। আমরা মিডিয়াম পেসার দেখছি স্লো পেসার দেখছি, কিন্তু সত্যি কারের গতি দেখতে পাচ্ছি না।”
শাহিন শাহ আফ্রিদিকে নিয়ে ওয়াকার বলেন, “আমি সঠিক বলতে পারব না শাহিনের সমস্যাটা কোথায়। তবে ওকে বিশ্রাম দিয়ে খেলানো উচিত। ওর গতি অনেকটা কমে গেছে। শাহীন ১৪০ থেকে ১৫০ কিলোমিটারে বল করানোর পাশাপাশি বল সুইং করাতে সক্ষম ছিল। ইনজুরির পর বল সুইং করাতে পারলেও গতি আগের মত নেই। সেই কারণে উইকেটের সংখ্যাও কমেছে তার।”