বিশ্বকাপের মত মঞ্চে ৪২৯ রান তাড়া করাটা যে প্রায় অসম্ভব সেটা আগেই জানতো শ্রীলংকা। তবুও শ্রীলঙ্কা দল শেষ পর্যন্ত লড়াই চালিয়েছে। শ্রীলঙ্কার আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে বোঝা যাচ্ছিল ম্যাচটা জেতার জন্যই নেমেছে তারা। শুরু থেকেই ঝড় ব্যাটিং করছিল শ্রীলংকা। রানের গতি ঠিক রাখারই চেষ্টা করেছিলেন সকল ব্যাটসম্যান। তবে রানের গতি ঠিক রাখতে বসেই মাঝপথে উইকেট হারিয়ে বসছিলেন ব্যাটসম্যানরা।
ইনিংসের শুরুতে শূন্য রানের নিশঙ্কা ফেরার পরে শ্রীলঙ্কার জন্য পথটা হয়ে যায় কঠিন থেকে কঠিনতম। কুশল মেন্ডিসের ৪২ বলে ৭৬ রানের ঝড়ো ইনিংসে কিছুটা আশার আলো দেখছিল ছিল শ্রীলংকা। তবে মেন্ডিসের ফেরার পরে শুধুমাত্র রানের ব্যবধানটাই কমাতে পারতো শ্রীলঙ্কা। চরিত আসালঙ্কা এবং দাসুন শানাকা সেটাই করেছে। তাদের দুজনের ৭৯ এবং ৬৮ রানের পর রাজিথার ৩৩ রানের ইনিংসে ৪৪.৫ ওভারে ৩২৬ রানে অলআউট হয়েছে শ্রীলংকা।
এদিন দক্ষিণ আফ্রিকা আগে ব্যাট করে শুরু থেকেই শ্রীলঙ্কার বোলারদের ওপর চড়াও হয়। মধুশঙ্কা শুরুতে বাভুমাকে ফেরাতে পারলেও আর তেমন কোন সাফল্য পায়নি শ্রীলংকা দল। দক্ষিণ আফ্রিকার তিনজন ব্যাটসম্যান হাকিয়েছেন সেঞ্চুরি। কুইন্টন ডি কক করেছেন ৮৪ বলে ১০০ , রাসি ভেন ডুসেন করেছেন ১১০ বলে ১০৮। আর ইডেন মারর্কামের সেঞ্চুরি এসেছে সবচেয়ে দ্রুত ৫৪ বলে হাকিয়েছেন ১০৬ রান। শেষ দিকে ডেবিড মিলার ও হেনরি ক্লাসেনের ঝড়ো ইনিংসে ৪২৮ রানের বিশাল সংগ্রহ দাঁড় করায় দক্ষিণ আফ্রিকা।
এত বড় লক্ষ তাড়া করতে নেমে শ্রীলংকার সকল ব্যাটসমেনই চেষ্টা চালিয়েছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বড় ব্যবধানের হার এড়াতে পারেনি দাসুন শানাকার দল। ১০২ রানের ব্যবধানে হেরেছে তারা। মারর্কামের ৫৪ বলে ১০৬ রানের ইনিংসের ফলে ম্যাচের সেরার পুরস্কার দেয়া হয়েছে তাকে।