আইসিসির ৪০.১.১ ধারায় বলা হয়েছে, কোন ব্যাটসম্যান আউট হওয়ার পর পরবর্তী ব্যাটসম্যানকে ওয়ানডে ক্রিকেটে দুই মিনিটের মধ্যে পরবর্তী বল মোকাবেলা করতে হবে। তবে বাংলাদেশ বনাম শ্রীলঙ্কা ম্যাচে সেই কাজটি করতে পারেননি অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস। বাংলাদেশ দল তার উইকেটে আপিল করায় ইতিহাসের প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে টাইম আউটে আউট তিনি।
তবে এই ব্যাপারে মাঠেই সতর্ক করা হয়েছিল ম্যাথিউসকে। ২৬ তম ওভারের দ্বিতীয় বলে শ্রীধরন সামারাবিক্রমা আউট হলে উইকেটে আসতে ম্যাথিউস সময় নেন ১.৩০ মিনিট। সে সময় আম্পায়ার রিচার্ড ইলিংওয়ার্থ ম্যাথিউসকে জানিয়েছিলেন বল মোকাবেলা করার জন্য তার হাতে আর মাত্র ৩০ সেকেন্ড সময় রয়েছে। তারপরও তিনি অপরপ্রান্তে থাকা আসালঙ্কা সঙ্গে আলাপ পরামর্শ করেন। যার ফলে তার হাতে সময় ছিল আর মাত্র ৫ সেকেন্ড।
সে সময়ে গার্ড নিয়ে তিনি তার হেলমেট ঠিক করতে গিয়ে হেলমেটের স্ট্র্যাপ ছিড়ে ফেলেন। তিনি আম্পায়ারদের কিছু না জানিয়ে শ্রীলংকার ড্রাগআউটে হেলমেটের ইশারা করেন। এই ভুলের কারণেই আউট হয়েছেন ম্যাথিউস।
ইএসপিএন ক্রিকইনফো তাদের একটি প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ‘যখন আপনার কোন সরঞ্জামের প্রয়োজন হবে তখন আম্পায়ারকে সেই বিষয়ে প্রথমে জানাতে হবে। যাতে তারা সেই সময়টুকু যোগ করে রাখতে পারে। পরবর্তীতে ফিল্ডিং টিমের কোন অসুবিধা না হয় এই বিষয়ে লক্ষ্য রাখার জন্যই আম্পায়ারকে জানাতে হবে। কিন্তু ম্যাথিউস সেটা করেননি।
যার ফলে প্রথম বল মোকাবেলা করার জন্য ২.৩০ মিনিট পেরিয়ে যায় লঙ্কান ব্যাটসম্যানের। সেজন্যই বাংলাদেশ দল আপিল করে আম্পায়ারদের কাছে। বিষয়টি মূলত লক্ষ্য রাখার দায়িত্ব থাকে চতুর্থ আম্পায়ারের উপর। দুই মিনিট পেরিয়ে যাওয়ার পর চতুর্থ আম্পায়ার অনফিল্ড আম্পায়ারদের বিষয়টি জানিয়ে দেন। যাতে পরবর্তীতে স্লো ওভার রেটে না পরে বোলিং দল। কিন্তু খেলোয়াড়দের বিষয়টি জানানো হয় না। কিন্তু বাংলাদেশ দল আপিল করায় বাধ্য হয়ে আউট দিতে হয়েছে আম্পায়ারদের।’