বিশ্বকাপটা মোটেও ভালো যায়নি শ্রীলঙ্কা দলের। বিশ্বকাপে নবম স্থানে থেকে বিশ্বকাপ শেষ করে দাসুন সানাকার দল। যার ফলে ২০২৫ সালে চ্যাম্পিয়ন ট্রফির জন্য অংশগ্রহণ করতে পারেনি শ্রীলঙ্কা দল। এরপর দলটি আরো বড় সমস্যার মধ্যে জড়িয়ে পড়ে। শ্রীলঙ্কার ক্রিকেট বোর্ডে হস্তক্ষেপ করে শ্রীলংকার ক্রীড়া মন্ত্রী। শ্রীলঙ্কার ক্রিকেট বোর্ডের সকল সদস্যকে বহিষ্কার করে দেন তিনি। যার ফলে সরকারি হস্তক্ষেপের জন্য শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে আইসিসি। সকল আইসিসি টুর্নামেন্ট খেলা থেকে বহিষ্কৃত করা হয় শ্রীলঙ্কাকে।
যদিও আইসিসি পরে তাদের সিদ্ধান্ত থেকে সড়ে আসে। তবুও শ্রীলঙ্কার ক্রিকেট বোর্ড নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। শ্রীলঙ্কায় আগামী বছর অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপ হওয়ার কথা হলেও সেখান থেকে বিশ্বকাপ সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকায়। এমন ঘটনা কোনোভাবেই মেতে নিতে পারেননি শ্রীলংকার প্রেসিডেন্ট। আইসিসি কেন তাদের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে এ ব্যাপারে তদন্ত করার জন্য একটি কমিটিও গঠন করেন তিনি।
তবে সবার আগে শ্রীলঙ্কার ক্রিকেট বোর্ডের সকল সদস্যকে বরখাস্ত করা শ্রীলংকার ক্রীড়া মন্ত্রী রোশান রানাসিংহেকে বরখাস্ত করেছে দেশটির প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহে। রানাসিংহে হত্যার অভিযোগ তোলেন প্রেসিডেন্ট বিক্রমাসিংহের বিরুদ্ধে। ক্রিকেট বোর্ডকে দুর্নীতিমুক্ত প্রচেষ্টা চালানোর জন্যই রানাসিংহে হত্যার হুমকি দেন বিক্রমাসিংহে। মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই তথ্য ফাঁস করেছেন ক্রীড়ামন্ত্রী। হত্যার চিঠিও পেয়েছেন তিনি। এমন অভিযোগের পর রানাসিংহেকে বহিষ্কার করেন প্রেসিডেন্ট।
এই ব্যাপারে ক্রীড়ামন্ত্রী রানাসিংহে বলেছেন , “ক্রিকেট বোর্ডকে দুর্নীতিমুক্ত করার প্রচেষ্টা চালানোর ফলে আমাকে হত্যা করা হতে পারে এমন আশঙ্কায় করছি আমি। যদি আমাকে হত্যা করা হয় তার জন্য দ্বায়ী থাকবে প্রেসিডেন্ট ও তার চিপ অফ স্টাফ।”