বিশ্বকাপ ব্যর্থতার হতাশার মাঝেই শ্রীলংকার ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে দ্বন্দ্ব শুরু হয় শ্রীলংকার সরকার পক্ষের কর্মীদের সঙ্গে। ক্রিকেট বোর্ডে সরাসরি হস্তক্ষেপ করে শ্রীলংকান ক্রীড়ামন্ত্রী রানাসিংহে। শ্রীলঙ্কান ক্রিকেট বোর্ডের সকল সদস্যকে বরখাস্ত করে অন্তর্বর্তীকালীন একটি কমিটি গঠন করেন তিনি। এরপরে শ্রীলংকার ক্রিকেট বোর্ডের উপর নিষেধাজ্ঞা আনে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রণ সংস্থা আইসিসি। এই ঘটনার নাটকীয়তা এখানেই শেষ হয় না।
একের পর এক চক্রান্তের খবর বেরিয়ে আসে ক্রিকেট বোর্ড এবং সরকার পক্ষের লোকজনের বিরুদ্ধে। দুর্নীতির অভিযোগে শ্রীলঙ্কান ক্রিকেট বোর্ডকে বরখাস্ত করা রানাসিংহকে বহিষ্কার করতে বাধ্য হন শ্রীলঙ্কান সরকার বিক্রমাসিংহে। রানাসিংহে শ্রীলঙ্কান সরকার বিক্রমাসিংহের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ তোলে।
যার ফলে বহিষ্কার করা হয় রানাসিংহে। এই ঘটনার প্রবাহ শেষ হতে না হতেই শ্রীলঙ্কান ক্রিকেট বোর্ড ও অভিযোগ তোলে রানাসিংহের বিরুদ্ধে। তহবিলের টাকার হিসাব না দেওয়াই দুর্নীতির অভিযোগ তোলা হয় রানাসিংহের বিরুদ্ধে। বরখাস্ত হওয়া ক্রিকেট বোর্ডের সকল সদস্য সুপ্রিম কোর্টে আপিল করেন।
আজ শ্রীলংকার নতুন ক্রীড়া মন্ত্রী হারিন ফার্নান্ডো ক্রিকেটের বোর্ডের উপর থেকে সকল নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে। এক্সে ফার্নান্ডো লিখেছেন, “আমাদের উপর থেকে আইসিসির নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার জন্য ক্রিকেটে অন্তর্বর্তীকালীন কমিটিকে সরিয়ে। ক্রিকেট বোর্ডের সদস্যর কাছে ফিরিয়ে দিচ্ছি।”