জিম্বাবুয়ের সঙ্গে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে শ্রীলংকার হয়ে অসাধারণ পারফরম্যান্স করেন অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস। তিন বছর পর টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ফিরেই ম্যাচ সেরার পুরস্কারও নিজের করে নেন তিনি। শেষ ওভারে ১৪ রান প্রয়োজন হয় শ্রীলংকার। পরপর দুই বলে চার মেরে ম্যাচ নিজেদের নিয়ন্ত্রণে আনেন অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস।
তবে প্রথম ম্যাচের হিরো দ্বিতীয় ম্যাচে এসে বনে গেলেন ভিলেন। এবার জিম্বাবুয়ের শেষ ওভারে প্রয়োজন ছিল ২০ রান। বল হাতে সেই রানটা আটকাতে পারেননি অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস। একবল হাতে রেখেই ম্যাচ জিতে যায় জিম্বাবুয়ে। ওভারের প্রথম বল নো করেন বসেন ৩৮ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার। নো বলে ছক্কা খান তিনি। ফ্রি হিট বলে আবারও চার মারেন লুক জংওয়ে। পরের বলে আবারো ছক্কা। পরবর্তী দুইটি বল ভালো করলেও পঞ্চম বলে গিয়ে ছয় মেরে জিম্বাবুয়েকে ম্যাচ জেতান সিলভে মাদান্দে।
প্রথম ম্যাচের হিরোকে এভাবেই ভিলেন বানিয়ে দিয়েছে জিম্বাবুয়ে দল। যদিও আজ ব্যাট হাতে উজ্জ্বল ছিলেন ম্যাথিউস। ৫১ বলে ৬৬ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন তিনি। ম্যাথিউসকে সঙ্গ দিয়ে ৩৯ বলে ৬৯ রানের ইনিংস খেলেন চরিথ আসালাঙ্কা। তাদের দুজনের ইনিংসেই ১৭৩ রানের বড় সংগ্রহ পায় শ্রীলংকা।
রান তাড়া করতে নেমে জিম্বাবুয়ের হয়ে অসাধারণ ইনিংস খেলেন ক্রেগ আরভিন। ৫৪ বলে ৭০ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। তবে অপর পাশ থেকে খুব বেশি সঙ্গ পাননি তিনি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ম্যাথিউসের করা শেষ ওভারটাই জয়ের কারণ হয়ে দাঁড়ায় জিম্বাবুয়ের জন্য। এই জয়ে তিন ম্যাচের সিরিজে ১-১ ব্যবধানে সমতায় ফিরল জিম্বাবুয়ে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
শ্রীলঙ্কা: ২০ ওভারে ১৭৩/৬ (আসালঙ্কা ৬৯, ম্যাথুস ৬৬; মুজারাবানি ২/৩৬, জঙ্গুয়ে ২/৩২)
জিম্বাবুয়ে: ১৯.৫ ওভারে ১৭৮/৬ (আরভিন ৭০, বেনেট ২৫, জঙ্গুয়ে ২৫*; তিকশানা ২/২৫, চামিরা ২/৩০)
ফল: জিম্বাবুয়ে ৪ উইকেটে জয়ী।