প্রথম লেগে ১২ অক্টোবর মালদ্বীপের ঘরের মাঠ মালেতে মালদ্বীপকে ১-১ ব্যবধানে রুখে দিয়েছিল বাংলাদেশ দল। শেষ মুহূর্তে সাদউদ্দিনের গোলে ড্র করতে পেরেছিল জামাল ভূইয়ারা। তবে বাংলাদেশ জয় নিয়ে ফিরতে পারতো ম্যাচটি থেকে। সহজ সুযোগগুলো কাজে লাগাতে পারেনি বাংলাদেশী খেলোয়াড়েরা।
১৭ই অক্টোবর দ্বিতীয় লেগে জয় ছাড়া বিকল্প ছিল না বাংলাদেশ দলের। ম্যাচটি জিততে পারলে বিশ্বকাপ বাছাই পর্বের মূল পর্বের রাস্তা খুলে যাবে বাংলাদেশ দলের জন্য। বসুন্ধরা অ্যরেনায় জয়ের লক্ষ্য নিয়ে মাঠে নামে রাকিব জামালরা। ম্যাচের শুরুতেই বাংলাদেশ দলকে এগিয়ে দেন রাকিব। ১১ মিনিটে গোলটি করেন তিনি। এরপর একের পর এক গোল মিস করেন বাংলাদেশী খেলোয়াড়েরা। যার মাশুল দিতে হয় ৩৬ তম মিনিটে। আইসাম ইব্রাহিমের গোলে সমতায় ফিরে মালদ্বীপ।
প্রথমার্ধে ১-১ সমতা নিয়ে বিরতিতে যায় দুই দল। তবে দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে বাংলাদেশকে আবারও এগিয়ে দেন ফয়সাল আহমেদ ফাহিম। দ্বিতীয় গোল দেওয়ার পর বেশ ভালো ফুটবল খেলছিল বাংলাদেশ দল। তবে ম্যাচের ৫৯ তম মিনিটে অযথা ফাউল করায় দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন বাংলাদেশের সোহেল রানা জুনিয়র। ১০ জনের দলে পরিণত হয় বাংলাদেশ দল।
বাকি সময়টুকু বাংলাদেশ দল ১০ জনেই লড়েছে। তবে আক্রমণাত্মক ফুটবলটাই দেখা গেছে বাংলাদেশের ফুটবলারদের থেকে। ১০ জনের দল নিয়েও আক্রমণ চালিয়েছে কাবরেরা শিষ্যরা। শেষ পর্যন্ত ঘরের মাঠে ২-১ গোলের ব্যবধানের জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়ে বাংলাদেশ। দুই লেগ মিলে ৩-২ গোলের ব্যবধানে এগিয়ে থাকায় বিশ্বকাপের বাছাইয়ের মূলপর্বে বাংলাদেশ।
বিশ্বকাপ বাছায়ের মূলপর্বে বাংলাদেশ লড়াই করবে অস্ট্রেলিয়া, ফিলিস্তিন ও লেবাননের বিপক্ষে। ১৬ নভেম্বর অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ম্যাচ দিয়ে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের যাত্রা শুরু করবে বাংলাদেশ।