ফুটবল বিশ্বে ইনজুরির প্রতিশব্দ যেন নেইমার। ২০১৪ সালের ফুটবল বিশ্বকাপে ইনজুরির মাধ্যমে নিজের ক্যারিয়ারের সবচেয়ে বড় ধাক্কা খেয়েছিলেন নেইমার। এরপর আর কখনো ইনজুরি পিছু ছাড়েনি ব্রাজিলিয়ান তারকার। প্রায় প্রতি মৌসুমে ইনজুরিতে পড়েছেন নেইমার। এরই মধ্যে চার থেকে পাঁচ বার নিজের অস্ত্রোপচার করিয়ে ফেলেছেন নেইমার। গতকাল উরুগুয়ের বিপক্ষে মাঠে নেমে ইনজুরিতে পড়েছেন নেইমার।
ম্যাচের ৪৪ তম মিনিটে দে লা ক্রজ পিছন থেকে ফাউল করেন নেইমারকে। মাঠে কাতরাতে থাকেন তিনি। এরপর আর মাঠ থেকে হেঁটে বিদায় নিতে পারেননি ব্রাজিলিয়ান নাম্বার টেন। কাঁদতে কাঁদতে স্টেচারে করে মাঠ ছাড়তে হয়েছে তাকে। তার অবস্থা দেখেই বোঝা গিয়েছিল বেশ বড়সড়ো ইনজুরিতে পড়েছেন তিনি।
আশঙ্কা সত্যি করে বড় ইনজুরিতে পড়েছেন নেইমার। হাটুর স্ক্যান রিপোর্ট হাতে আসার সঙ্গে সঙ্গে নেইমার জানিয়েছেন তার হাঁটু লিগামেন্ট ছিড়ে গিয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নেইমার একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন সেখানে তিনি লিখেছেন, “এটা আমার জন্য কষ্টদায়ক। আমি জানি আমি অনেক শক্তিশালী একজন মানুষ। কিন্তু এ সময় আমার পরিবার এবং কাছের বন্ধুদের খুব প্রয়োজন। আমাকে আবার অস্ত্রোপচারের মধ্যে দিয়ে যেতে হবে যা মোটেও সহজ নয়। চার মাস সময় লাগার পর আবারও আমাকে এটার মধ্যে দিয়েই যেতে হবে। তবে আমি বিশ্বাস করি আমি ফিরব। সবকিছু ঈশ্বরের উপর ছেড়ে দিচ্ছি। আমাকে সমর্থন জানিয়ে সুস্থতা কামোনার বার্তা পাঠানোর জন্য আপনাদের ধন্যবাদ।”
নেইমারের ইনজুরি বেশ ভয়ংকর। ‘মার্কা’ তাদের রিপোর্টে জানিয়েছে, অস্ত্রোপচার করানোর পর নেইমারের সেরে উঠতে ৭ থেকে ৮ মাস সময় লাগতে পারে। আগামী জুনে কোপা আমেরিকাও মিস করতে পারেন নেইমার।
এমন ইনজুরি যে কোন খেলোয়াড়ের জন্যই ঝুঁকিপূর্ণ। যেকোনো খেলোয়াড়ের ক্যারিয়ার ধ্বংস করে দিতে পারে এমন ইনজুরি। তবে নামটা যখন নেইমারের তখন ফিরে আসাটাও অবশ্যনীয়। বারবার ইনজুরি থেকে ফিরে এসেছেন তিনি। মাঠেও নিজেকে প্রমাণ করেছেন তিনি।