সুপার ক্লাসিকো ম্যাচে একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার সাক্ষী হয়েছে ফুটবল বিশ্ব। যেখানে ব্রাজিলের পুলিশের হাতে মার খেতে দেখা গেছে আর্জেন্টিনা সমর্থকদের। আর্জেন্টিনা সমর্থকদের ওপর লাঠিচার্জ করেছে ব্রাজিল পুলিশ। ২২ নভেম্বর ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা ম্যাচের জাতীয় সংগীতের সময় দুয়ো দেওয়া নিয়ে শুরু হয় সমর্থকদের মাঝে ঝামেলা। পরিবেশ অনিয়ন্ত্রিত হয়ে পড়ে। সে সময় আর্জেন্টিনা সমর্থকদের ওপর লাঠিচার্জ করে ব্রাজিল পুলিশ।
আর্জেন্টিনার খেলোয়াড়রা পুলিশকে বাঁধা দিতে থাকেন। একপর্যায়ে মাঠ থেকে বেরিয়ে যায় আর্জেন্টিনা খেলোয়াড়েরা। পরিবেশ শান্ত হলে তারা মাঠে ফিরে। আর্জেন্টিনার অনেক সমর্থককে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখা যায়। পরে তাদের দ্রুতই চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়। ম্যাচ পিছিয়ে পড়ে আধা ঘন্টা। শেষ পর্যন্ত খেলাটা সম্পূর্ণ হলে ব্রাজিলের ঘরের মাঠ থেকে ৩ পয়েন্ট নিয়েই ফেরে আর্জেন্টিনা। মারাকানা স্টেডিয়ামে ১-০ গোলের জয় পায় আর্জেন্টিনা।
তবে ম্যাচের আগে এমন ঘটনাকে সমর্থন করেনি কেউ। এই ঘটনার পর ফুটবল মহলে ব্রাজিল নিন্দাও কুঁড়িয়েছে অনেক। এবার এই ঘটনার তদন্তে নামবে ফিফা। ঘটনায় ব্রাজিল দোষী প্রমাণিত হলে শাস্তির মুখে পড়তে পারে তারা। বিশ্বকাপ বাছাই পর্বে পয়েন্ট কাটা যেতে পারে তাদের। তাছাড়াও জরিমানা বা ফাঁকা স্টেডিয়ামে ম্যাচ খেলতে হতে পারে ব্রাজিলের। এমনিতেই বিশ্বকাপ বাছাই পর্বে ধুঁকছে ব্রাজিল দল। এর মধ্যে শাস্তির মুখোমুখি হলে বড় সমস্যায় পড়বে ব্রাজিল। বিশেষ করে পয়েন্ট কাটা গেলে বিশ্বকাপ মূল পর্বের খেলা নিয়েও তৈরি হবে বড় শঙ্কা।
ব্রাজিলের সংবাদমাধ্যম ‘গ্লোবো’র খবরে বলা হয়েছে, ফিফা ডিসিপ্লিন কমিটি মারাকানার ঘটনার তদন্ত চালাবে। ব্রাজিল দোষী প্রমাণিত হলে তাদের শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে। ফিফা ডিসিপ্লিনারি কোডের ধারা–১৭ অনুসারে, ম্যাচের পূর্বে, ম্যাচের সময় এবং ম্যাচের পরে শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা সবকিছুই আয়োজক কমিটির দায়িত্ব। এখানে ভুল কিছু ঘটলে ফেডারেশনকে এর দ্বায়ভার নিতে হবে। সুতরাং ব্রাজিল ফুটবল ফেডারেশন (সিবিএফকে) অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার দায়িত্ব নিতে হবে।
এই ঘটনার পরেই তীব্র নিন্দা জানিয়েছিলেন ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনো। তিনি তার ইনস্টাগ্রাম বার্তায় লিখেছেন, “ফুটবল মাঠে সহিংসতার কোন জায়গা নেই। ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা ম্যাচে যে ঘটনাটি ঘটেছে তা নিন্দনীয়। ফিফা এই ঘটনাকে সমর্থন করে না। এই ঘটনার তীব্রা নিন্দা জানিয়েছে দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চলের ফুটবল নিয়ন্ত্রক সংস্থা কনমেবলও।