এএফসি কাপের আগের ম্যাচেই ভারতের ক্লাব মোহনবাগানের বিপক্ষে ঘরের মাঠে ২-১ গোলের জয় পেয়েছিল বসুন্ধরা কিংস। প্রথমে পিছিয়ে পড়েছিল বসুন্ধরা কিংস। সেই ম্যাচে ২-১ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছিল তারেক কাজিরা। যার ফলে নিজেদের ঘরের মাঠে কখনোই না হারার রেকর্ডটি ধরে রেখেছিল তারা। আজ মালদ্বীপের ক্লাব মাজিয়ার বিপক্ষে সেই লক্ষ্য নিয়েই নেমেছিল বাংলাদেশের ক্লাব।
তবে ম্যাচের ১০ মিনিটে হোঁচট খায় বসুন্ধারা। তরুণ গোলরক্ষক শ্রাবণের ভুলে গোলটি হজম করে তারা। মাজিয়ার পক্ষে গোলটি করেন রেগান। ইনজুরির জন্য ম্যাচটি খেলতে পারেননি বসুন্ধরা কিংসের অধিনায়ক রবসন রবিনহো। বসুন্ধরা কিংসকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে থাকেন তিনি। তাকে ছাড়া বেশ দুর্বল লেগেছে বসুন্ধরা কিংস দলকে। তবুও বসুন্ধরা কিংস একের পর এক আক্রমণ চালিয়ে গেছে। তবে গোলের মুখ খুলতে পারেনি দলটি। প্রথমার্ধে এক গোলে পিছিয়ে থেকেই দ্বিতীয়ার্ধে খেলা শুরু করে বসুন্ধরা।
একটা সময় ঘরের মাঠে প্রথম কোন হারের স্বাদ গ্রহণ করার দাঁড়প্রান্তে চলে এসেছিল বসুন্ধরা কিংস। তবে ৮০ মিনিটে কর্নার থেকে ভেসে আসা একটি বলে হেডারের মাধ্যমে দলকে সমতায় ফেরান বাবুরবেক ইউলদাশোভ। শেষ মুহূর্তে গোল করে উজ্জীবিত হয়ে ওঠে বসুন্ধরা কিংস। আক্রমণের ঝড় বয়ে যায় মাজিয়ার ডিফেন্সে। দ্বিতীয় গোল পেতে বসুন্ধরা কিংসকে অপেক্ষা করতে হয়েছে আট মিনিট।
৮৮ মিনিটে ব্রাজিলিয়ান মিডফিল্ডার মিগেল ফেরেইরার ৩০ গজ দূর থেকে নেওয়া শটে পরাস্ত হন মাজিয়ার গোলরক্ষক শরীফ। মোহনবাগানের বিপক্ষে ও এমন একটি গোল করেছিলেন তিনি। তার এই গোলের মাধ্যমে ২-১ ব্যবধান গড়ে বসুন্ধরা। বসুন্ধরা কিংসও এএফসি কাপের পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে অবস্থান করছে।
এই জয়ে এএফসি কাপের ‘সি’ গ্রুপে পাঁচ ম্যাচ থেকে ১০ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে বসুন্ধরা। দ্বিতীয়তে রয়েছে মোহনবাগান। তারা ৫ ম্যাচ থেকে ৯ পয়েন্ট পেয়েছে। ১১ ডিসেম্বর উড়িষ্যাকে হারাতে পারলে এএফসি কাপের দ্বিতীয় রাউন্ডে উঠে যাবে বসুন্ধরা কিংস।