ত ম্যাচে অনূর্ধ্ব ১৭ বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে ব্রাজিলকে উড়িয়ে দিয়েছিল আর্জেন্টিনা দল। ব্রাজিলকে ৩-০ গোলে হারিয়ে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে উঠেছিল আর্জেন্টিনা। ম্যাচটিতে হ্যাটট্রিকের দেখা পেয়েছিলেন আর্জেন্টিনার ভবিষ্যৎ তারকা ক্লদিও এচেভেরি। তবে এই ম্যাচে টাইব্রেকারে রাউন্ডে পেনাল্টি মিস করে ভিলেন বনে গিয়েছেন তিনি। জাভার মানাহান স্টেডিয়ামে ম্যাচের শুরু থেকে উত্তেজনার কমতি ছিল না।
প্রথম থেকে আক্রমণ প্রতি আক্রমণে খেলা জমে ওঠে। তবে আর্জেন্টিনা দলকে প্রথম আঘাত দেন প্যারিস ব্রুনা। তার গোলে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায় জার্মানরা। ম্যাচে পিছিয়ে পড়ে ঘুরে দাঁড়াতে খুব বেশি সময় নেয়নি আর্জেন্টিনা। ম্যাচের ৩৬ মিনিটে আর্জেন্টিনাকে সমতায় ফেরান আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকার রুবের্তো। প্রথমার্ধের খেলা শেষ হওয়ার আগেই আবারোও আর্জেন্টিনা দলকে এগিয়ে দেন রুবের্তো। যার ফলে এক গোলের লিড নিয়েই প্রথমার্ধের খেলা শেষ করে আর্জেন্টিনা।
দ্বিতীয়ার্ধে ফিরে গোল পরিশোধ করতে মরিয়া হয়ে ওঠে জার্মানি। দ্বিতীয়ার্ধের খেলার ১৩ মিনিটের মাথায় জার্মানিকে সমতায় প্যারিস ব্রুনা। এরপর যেন আরো আত্মবিশ্বাসী হয়ে ওঠে জার্মান যুবারা। ক্রমাগত আক্রমণ চালাতে থাকে তারা। যার ফলে তৃতীয় গোল পেতেও খুব বেশি দেরি হয়নি জার্মানির। ৬৯ তম মিনিটে ম্যাক্স মোরস্টেটের গোলে আরো একবার এগিয়ে যায় জার্মানি। নির্ধারিত সময়ের ৯০ মিনিট পর্যন্ত এই এক গোলের লিড বজায় রেখেছিল তারা।
তবে যোগ সময়ে জার্মানির স্বপ্ন ভঙ্গ করে নিজের হ্যাটট্রিক পূরণ করেন রুবের্তো। নির্ধারিত সময়ের সঙ্গে ৮ মিনিট যোগ করা হয়। ৮ মিনিট সময়ের মধ্যে ষষ্ঠ মিনিটেই আর্জেন্টিনার পক্ষে ব্যবধান সমান করেন রুবের্তো। ফিফার নিয়ম অনুযায়ী বয়সভিত্তিক এই বিশ্বকাপের নকআউট পর্বের ম্যাচে অতিরিক্ত সময় না থাকায় সরাসরি খেলা গড়ায় টাইব্রেকারে রাউন্ডে। সেখানেই স্বপ্নভঙ্গ হয় আর্জেন্টিনার।
আর্জেন্টিনারা ৪ শটের দুইটি সেভ করে দেন জার্মানি গোলরক্ষক কনস্টানটাইন হেইডে। অপরদিকে পাঁচ শট নিয়ে চারটিতে গোল আদায় করে নেয় জার্মানি। যার ফলে আবারও অনূর্ধ্ব ১৭ বিশ্বকাপ থেকে খালি হাতে ফিরতে হলো আর্জেন্টিনাকে। অনূর্ধ্ব ১৭ বিশ্বকাপ এর আগেও কখনোই জিততে পারেনি আর্জেন্টিনা।