মৌসুমের শুরু থেকে রিয়াল মাদ্রিদের সবচেয়ে বড় তারকা হয়ে উঠেছিলেন জুড বেলিংহাম। প্রতি ম্যাচে প্রায় বেলিংহাম জাদুতেই জয় ছিনিয়ে নিয়ে আসছিল রিয়াল। তবে সমালোচনা উঠেছিল রিয়াল মাদ্রিদের দুই ব্রাজিলিয়ান তারকা ভিনিসিয়াস জুনিয়র ও রদ্রিগোকে নিয়ে। গোল খরায় ভুগছিলেন তারা। রিয়াল মাদ্রিদ সমর্থকেরাও আঙ্গুল তুলে ছিল তাদের দিকে।
তবে রিয়াল মাদ্রিদ কোচ কার্লো আনচেলত্তি ভরসা দেখিয়েছিলেন তাদের উপর। কিছুদিন আগে আনচেলত্তি বলেছিলেন, “এখন পরিসংখ্যান যে কথায় বলুক। মৌসুম শেষে আপনি ভিনিসিয়াস ও রদ্রিগোর পরিসংখ্যান অন্যরকম কিছু দেখবেন। ভিনিসিয়াস ও রদ্রিগো এগোচ্ছেন সেই পথেই। বেলিংহামকে ছাড়াই পরপর দুই ম্যাচে জয় পেয়েছে মাদ্রিদ। দুই ম্যাচে গোল পেয়েছেন ভিনিসিয়াস ও রদ্রিগো। চ্যাম্পিয়ন লিগের শেষ ম্যাচে এক গোল এক এসিস্ট করেছিলেন তারা দুজনে। যার ফলে র্বাগার বিরুদ্ধে ৩-০ জয় দিয়ে নিজেদের রাউন্ড অফ সিক্সটিন নিশ্চিত করেছে মাদ্রিদ।
গতকাল লা লিগায় ভ্যালেন্সিয়াকে ভিনিসিয়াস ও রদ্রিগোর জোড়া গোলে ৫-১ ব্যবধানে হারিয়েছে তারা। ম্যাচের শুরু থেকে আক্রমণের পর আক্রমণ করতে থাকে রিয়াল মাদ্রিদ। ম্যাচের তৃতীয় মিনিটে কারভাহালের ডি বক্সের বাইরে থেকে দারুণ এক ভলিতে এগিয়ে যায় মাদ্রিদ। এরপর গোল করতে আরও মরিয়া হয়ে ওঠে কার্লো আনচেলত্তির দল। ম্যাচের সপ্তম মিনিটে টনি ক্রসের ফ্রি কিক ক্রসবারে লেগে ফিরে আসে। ম্যাচের ১০ ও ১৫ মিনিটে সমতা ফেরানোর দারুন দুটো সুযোগ পেয়েছিল ভ্যালেন্সিয়া। তবে লুনিনের দারুন দুটি সেভে রক্ষা পায় মাদ্রিদ। ম্যাচের ১৬ তম মিনিটে ভিনিসিয়াস একাই ৩ ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে গোলপোস্টে শট নেন অল্পের জন্য বাইরে চলে যায়।
দ্বিতীয় গোলের জন্য রিয়াল মাদ্রিদকে অপেক্ষা করতে হয়েছে ম্যাচের ৪১ মিনিট পর্যন্ত। রদ্রিগোর ক্রস থেকে মাথা ছুঁয়ে গোল করেন ভিনিসিয়াস। দ্বিতীয়ার্ধে ফিরে ডিবক্সের বাইরে থেকে দারুন শটে গোলকিপারকে পরাস্ত করেন ভিনিসিয়াস। এরপরে আক্রমণের ধার আরো বৃদ্ধি করে রিয়াল। ভিনিসিয়াসের গোলের দুই মিনিট পর মাদ্রিদকে চার গোলের লিড এনে দেন রদ্রিগো। আবারো ম্যাচের ৮৪ তম মিনিট রদ্রিগোর গোলে ৫-০ গোলে এগিয়ে যাই মাদ্রিদ। ম্যাচের ৮৮ মিনিটে হুগো ডোরুর গোলে এক গোলের ব্যবধান কমায় ভ্যালেন্সিয়া।
নিজেদের ঘরের মাঠ থেকে পূর্ণ তিন পয়েন্ট নিয়ে ফিরেছে মাদ্রিদ। এই জয় নিজেদের দ্বিতীয় স্থান ধরে রাখল ভিনিসিয়াস রদ্রিগোরা। ১৩ ম্যাচে ৩২ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে তারা। প্রথম স্থানে থাকা জিরোনার থেকে দুই পয়েন্ট কম তাদের। ১৩ ম্যাচ থেকে জিরোনা পেয়েছে ৩৪ পয়েন্ট। অন্যদিকে ১৩ ম্যাচ থেকে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে নবম স্থানে ভ্যালেন্সিয়া।