চ্যাম্পিয়ন লিগের ম্যাচে বার্সেলোনার অলিম্পিকস স্টেডিয়ামে শুরু থেকেই আধিপত্য বজায় রেখে খেলার চেষ্টা করে বার্সেলোনা। অন্যদিকে পর্তুগিজ ক্লাব পোর্তো কাউন্টার অ্যাটাকে বেশি মনোযোগী ছিল। নিজেদের পায়ে বল রেখে খেলার নিয়ন্ত্রণ নিতে চায় বার্সেলোনা। ম্যাচের পঞ্চম মিনিটে দারুন এক শট নেন জোয়াও ফিলিক্স। অল্পের জন্য লক্ষ্য রাখতে পারেননি তিনি। এর তিন মিনিট পরেই ডি বক্সের বাইরে থেকে দারুণ এক শট নেন রাফিনিয়া। তার শটটি লক্ষে থাকলেও দারুন সেভ দেন পর্তো গোলরক্ষক দিয়াগো কস্তা।
এরপর ম্যাচের কিছুটা নিয়ন্ত্রণ নিতে চেষ্টা করে পোর্তো। ম্যাচের ২৬ তম মিনিটে পর্তোকে এগিয়ে দিয়েছিলেন তারেমি। তবে অফসাইডের ফাঁদে পড়ে গোলটি বাতিল হয়। পরের মিনিটের বার্সেলোনার ডিফেন্সে আরো এক শট নেন গেলনো বার্সেলোনাকে এ যাত্রায় রক্ষা করেন বার্সেলোনা গোলরক্ষক পিনা। তবে ম্যাচের ৩০ মিনিটের গেলনোর একটি শট পিনা রক্ষা করলেও ফিরতি বলে পেপে আকুইনার শট আর আটকাতে পারেননি তিনি। যার ফলে ০-১ গোলের ব্যবধানে এগিয়ে যায় পোর্তো।
তবে ঘরের মাঠে বার্সেলোনার ম্যাচে ফিরতে মাত্র সময় লেগেছে দুই মিনিট। গোল হজমের দুই মিনিট পরেই বার্সেলোনাকে সমতায় ফেরান জোয়াও ক্যানসেলো। প্রথমার্ধে আরও বেশ কয়েকটি সুযোগ পেয়েছে দুই দল। কিন্তু সুযোগগুলো কাজে লাগাতে পারেনি কোন দল। দ্বিতীয়ার্ধে ফিরে আক্রমণ প্রতি আক্রমণে খেলা চলতে থাকে। বার্সেলোনার আক্রমণের ধারই বেশি লক্ষ্য করা যায়।
বেশি আক্রমণ করার ফলাফল ম্যাচের ৫৮ তম মিনিটেই পেয়ে বার্সেলোনা। জোয়াও ফিলিক্সের গোলে ২-১ এগিয়ে যায় জাভি হার্নান্দেজের দল। ম্যাচের শেষ বাঁশি বাজা পর্যন্ত এই ফলাফলই বজায় রাখতে সক্ষম হয় বার্সেলোনা। যার ফলে দুই মৌসুম পর চ্যাম্পিয়ন লিগের শেষ ১৬ নিশ্চিত করল তারা। পাঁচ ম্যাচে চার জয়ে ১২ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে বার্সেলোনা। অন্যদিকে পাঁচ ম্যাচ থেকে তিন জয় ৯ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট তালিকার দ্বিতীয়তে পোর্তো।