নাতনির বয়স দুই বছর হয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত নাতনির মুখ দেখতে পারেননি নানা। তবে সেই দুঃখ আর বেশি দিন থাকবে না নানার। খুব দ্রুতই নাতনির সঙ্গে মিলতে চলেছে নানা।
বিশ্বকাপের মঞ্চ তৈরি করে দেবে নানা-নাতনির মিলনের পথ। লিয়াকত খানের সঙ্গে এমন একটি ঘটনায় ঘটতে চলেছে। এবার লিয়াকত খানের পরিচয় জেনে নেওয়া যাক। লিয়াকাত খান একজন ভারতীয় নাগরিক। বয়স ৬৩ বছর। তাছাড়াও তার সবচেয়ে বড় পরিচয় তিনি পাকিস্তান দলের পেস বোলার হাসান আলীর শ্বশুর মশাই।
২০১৯ সালে লিয়াকত খানের মেয়ে সামিয়ার সঙ্গে দুবাইয়ে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন হাসান আলী। এরপর থেকেই মেয়ে পাড়ি জমান পাকিস্তানে। গত দুই বছর মেয়ের জামাই এবং নাতনির সঙ্গে দেখা করতে পারেননি নানা। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের একটি সাক্ষাৎকারে লিয়াকত খান বলেছেন, “২০২১ সালে মেয়ের প্রথম সন্তান জন্মদানের সময় আমার স্ত্রী পাকিস্তানে গিয়েছিল। আশা করি, আহমেদাবাদে আমাদের আবার দেখা হবে। নাতনিকে কোলে নিতে আর তর সইছে না।”
হাসান আলীর সঙ্গে তার মেয়ের কিভাবে পরিচয় হলো সেটিও জানিয়েছেন লিয়াকত খান। তিনি বলেছেন, “এমিরেটস এয়ারলাইনসে ফ্লাইট ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কাজ করত আমার মেয়ে। এই কাজে থাকতে দুবাইয়ে হাসানের সঙ্গে পরিচয় থেকে বন্ধুত্ব হয়। সে আমাকে হাসানের কথা বলেছে। মেয়ের সিদ্ধান্ত নিয়ে কখনোই আমার মনে সন্দেহের উদ্রেক হয়নি। যদি আমার সিদ্ধান্ত মেয়ের ওপর চাপিয়ে দিতেই হয়, তাহলে তাকে লেখাপড়া শেখালাম কেন? সে শিক্ষিত ও স্বাধীন। লোকজন পেছনে কী বলছে তা পাত্তা দেয় কে! তাকে বলেছি, সুখে থাকতে পারলে কাকে বিয়ে করছ, সেটা কোনো সমস্যা নয়। হাসান ভালো মনের মানুষ। আমরাও খুশি।”
১৪ তারিখ ভারত পাকিস্তান ম্যাচে কাকে সাপোর্ট করবেন তিনি সেটাও পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন লিয়াকত। তিনি বলেছেন, “আমি সুনীল গাওস্কর, কপিল দেব, সচিন তেন্ডুলকর, মহম্মদ আজহারউদ্দিনদের খেলা দেখেছি। কিন্তু আমার প্রিয় ক্রিকেটার বিরাট কোহলি। এবারও আমরাই জিতব।’’