১৯৮৩ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ ঘরে তুলেছিল ভারত। সেই দলের অধিনায়কত্ব পালন করেছিলেন অলরাউন্ডার কপিল দেব। ভারতের ক্রিকেট ইতিহাসে শচীন টেন্ডুলকারের পরেই স্থান দেওয়া হয়ে থাকে কপিল দেবকে। অনেকের মতে কপিল দেব ইতিহাসের সেরা ভারতীয় ক্রিকেটার। তার মাধ্যমে ভারতীয় ক্রিকেটের উত্থান শুরু হয়। তবে এমন ব্যক্তিকে ঘরের মাঠে বিশ্বকাপের ফাইনালে আমন্ত্রণ জানায়নি ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড।
১৯ নভেম্বর ভারত বনাম অস্ট্রেলিয়া নরেন্দ্র মোদি ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এক লাখ ত্রিশ হাজার দর্শকের সামনে বিশ্বকাপ ফাইনালে মুখোমুখি হয়। সেখানে ভারতের সাবেক ক্রিকেটারসহ নানান তারকাদের দেখা গেছে শচীন টেন্ডুলকার ও সৌরভ গাঙ্গুলী আরো নানান ক্রিকেটারকে দেখা গেছে ভারতীয় দলকে সমর্থন দিতে। তবে মাঠে ছিলেন না কপিল দেব।
কেন মাঠে তিনি ছিলেন না এই ব্যাখ্যাটাই চাওয়া হয় কপিলের কাছে। এই প্রশ্নের জবাবে কপিল দেব এবিপি নিউজকে জানিয়েছে, বিশ্বকাপ মঞ্চে তাকে আমন্ত্রণ করা হয়নি। তিনি তার সাক্ষাৎকারে বলেছেন, “আমাকে তারা ফোন করেনি, আমিও সেখানে যায়নি। আমাকে তারা আমন্ত্রণ দেয়নি। আমি বিশ্বকাপ জয়ী ৮৩ দলের সকল সদস্যকে নিয়ে সেখানে যেতে চেয়েছিলাম। হয়তো নানান ব্যস্ততায় তারা আমাকে আমন্ত্রণ জানাতে ভুলে গেছে।”
তবে মাঠে বসে যারা খেলা দেখেছেন তাদের সবাইকে কি আমন্ত্রণ করা হয়েছিল এর ব্যাখ্যা এখনো খুঁজে পাওয়া যায়নি। যদিও কিছু কিছু গণমাধ্যম দাবি করে সৌরভ গাঙ্গুলীকে বিসিসিআই আমন্ত্রণ জানিয়েছিল। আরো বেশ কিছু অধিনায়ককে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল ফাইনাল ম্যাচে। তবে ফাইনাল ম্যাচে তেমন কিছু পরিলক্ষিত হয়নি। ২০১১ সালের বিশ্বকাপ অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধনী ও মাঠে উপস্থিত ছিলেন না।