নিজের সময়ে যেমন আক্রমণাত্মক ক্রিকেটার ছিলেন সেবাগ। ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়ার পরেও তেমন আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে কমেন্ট্রি করে থাকেন সেবাগ। তার মুখে যে কথাটা আসে তিনি সেটাই পরিষ্কার জানিয়ে দেন তার মনে কোন এই ব্যাপারে দ্বিধাদ্বন্দ নেই। তবে বাংলাদেশ দলকে কখনো অপমান করতে ছাড়েননি তিনি। ২০১০ সালে বাংলাদেশে টেস্ট খেলতে এসে বাংলাদেশকে অর্ডিনারি দল হিসেবে আখ্যায়িত করেছিলেন সেবাগ।
বাংলাদেশ দল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলছে ১৯৮৬ সাল থেকে। ৩৭ বছরের ক্রিকেট ইতিহাসে তেমন কোনো সফলতা নেই বাংলাদেশ দলের। এজন্য হরহামেশাই বাংলাদেশ দলকে নিয়ে কটুক্তি করতে থাকেন তিনি। এবার বাংলাদেশ দলকে আফগানিস্তানের থেকে ক্রিকেট শিখে আসতে বললেন সাবেক ভারতীয় ওপেনার।
সেবাগ তার একটি সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশের ক্রিকেট সম্পর্কে বলেছেন, “বড় কোনো টুর্নামেন্ট এলে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা যেন ব্যাট করতে ভুলে যায়। বোলিংয়ের জন্য বিন্দুমাত্র সুযোগ রাখেনা তারা। আপনি আফগানিস্তানের দুই ওপেনার দিকে তাকাতে পারেন তাদের তিন এবং চার নম্বর ব্যাটসম্যানের দিকেও তাকাতে পারেন। তারা সব সময় আফগানিস্তান দলকে বড় সংগ্রহ করতে সাহায্য করে। ২৮০/২৯০ রান প্রতি ম্যাচেই করে থাকে। এরপর তাদের বোলার রয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা তাদের বোলারদের কোন সুযোগ তৈরি করতে দেয় না।”
তিনি আরো যোগ করেছেন, “আমি জানিনা আপনাদের ঘরোয়া ক্রিকেটের পরিস্থিতি কেমন। কত সংখ্যক ভালো ক্রিকেটার দলের বাইরে রয়েছে তাও আমি জানিনা। তবে যদি থাকে তাদেরকে নিয়ে নতুন দল গঠন করতে হবে। অভিজ্ঞতা এবং তারুণ্যের সমন্বয়ে দল তৈরি করতে হবে। প্রত্যেককে তার নিজেদের কাজ বুঝিয়ে দিতে হবে। এটি একটি লম্বা প্রসেস সময়ের প্রয়োজন। তবে আপনাদের হাতে সময় রয়েছে কেবলমাত্র একটি বিশ্বকাপ শেষ হলো। চার বছর দল গোছানোর জন্য যথেষ্ট সময়।”
সৌরভ গাঙ্গুলীর প্রসঙ্গ টেনে বীরেন্দ্র সেহবাগ বলেন, “সৌরভ গাঙ্গুলী আমাদের অধিনায়ক হওয়ার পর একই কাজগুলো করেছিলেন। তিনি নির্বাচকদের সঙ্গে আলোচনা করে অভিজ্ঞতার সমন্বয়ে তারুণ্য নির্ভর দল বানিয়েছিলেন। অভিজ্ঞ খেলোয়ারদের যে ভূমিকা দেওয়া দরকার তিনি তাদের সেই ভূমিকায় পালন করতে দিয়েছিলেন। আমরা যখন সে সময় তরুণ ছিলাম আমাদের কাজটাও তিনি ঠিকমত আমাদের বুঝিয়ে দিয়েছিলেন। আমরা একে অন্যের সঙ্গে বেশ ভালোভাবে মানিয়ে নিয়েছিলাম। বাংলাদেশ দলকে সেই একই কাজ করতে হবে। বাংলাদেশ দলকে লম্বা পরিকল্পনার মাধ্যমে সামনে এগিয়ে যেতে হবে।”