পাকিস্তান সুপার লিগ (পিএসএল) এর নবম তম আসর শুরু হওয়ার কথা রয়েছে আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে মার্চ মাসের মধ্যে। শুরুর কয়েক মৌসুম পাকিস্তান সুপার লিগের ম্যাচগুলো অনুষ্ঠিত হতো সংযুক্ত আরব আমিরাতে। নিরাপত্তা জনিত কারণে বিদেশি খেলোয়াড়রা পাকিস্তানি গিয়ে পিএসএল খেলতে অস্বীকৃতি জানাতো সে সময়।
ধীরে ধীরে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড পিএসএল পাকিস্তানে আয়োজন করতে শুরু করে। খেলোয়াড়দের সকল নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড। ধীরে ধীরে পিএসএলে বড় তারকারাও খেলতে শুরু করে। ক্রিস গেইল, এবি ডি ভিলিয়ার্স, কিরণ পোলার্ড সকল খেলোয়াড়ই পাকিস্তানে গিয়ে ক্রিকেট খেলতে শুরু করে। যার ফলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটও মাঠে ফিরে পাকিস্তানে।
কিন্তু এবার আবার নিরাপত্তা জনিত কারণেই পিএসএল পাকিস্তানে আয়োজন করা সম্ভব হচ্ছে না পাকিস্তান বোর্ডের জন্য। মূলত এবার সমস্যাটা হয়ে দাঁড়িয়েছে রাজনৈতিক। রাজনৈতিক কারণেই পিএসএল পাকিস্তানে আয়োজন করা সম্ভব হচ্ছে না। আগামী বছরে পাকিস্তানে রয়েছে সাধারণ নির্বাচন। সকল নিরাপত্তাকর্মীকে নির্বাচনের কাজেই নিয়োজিত করা হবে। এজন্যই পাকিস্তান পুলিশ খেলোয়াড়দের নিরাপত্তা রক্ষা করতে পারবেনা বলে জানিয়েছে পাকিস্তান সরকার।
ইতিমধ্যেই ব্যাপারটি পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডকে জানিয়ে দিয়েছে সরকার কর্তৃপক্ষ। এবারের পিএসএলের সময় সীমা ছিল ১৯ ফেব্রুয়ারি থেকে ২০ মার্চ পর্যন্ত। এই সময়টাও পেছানোর কোন সুযোগ নেই। কারণ প্রত্যেক পেশাদার খেলোয়াড়ের চুক্তি থাকে পুরো বছরের। সে কোন সময় কোথায় খেলবে তা আগেই নির্ধারণ করা থাকে। পিএসএল পেছালে বড় তারকা বিদেশি খেলোয়াড়কে না পাওয়ার সম্ভাবনাটাই বেশি।
এজন্যই পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড চিন্তা করছে পিএসএলকে পাকিস্তানের বাইরে নিয়ে যেতে। পিএসএল আয়োজনের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি এগিয়ে রয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত ও দক্ষিণ আফ্রিকা। এই দুই বোর্ডের সঙ্গে ইতিমধ্যে আলোচনাও শুরু করে দিয়েছে পিসিবি। তবে সবচেয়ে বেশি এগিয়ে রয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। এর আগেও সংযুক্ত আরব আমিরাত পিএসএল আয়োজন করেছে তাছাড়াও সেখানে পাকিস্তান ভক্তদের সংখ্যাও কম নয়।