পাকিস্তানি অধিনায়ক বাবর আজমকে নিয়ে সব সময় সমালোচনা হতে থাকে। ব্যাটসম্যান বাবর আজমের চেয়ে অধিনায়ক বাবর আজমের সমালোচনাটাই সবচেয়ে বেশি পরিমাণে হয়। পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেটাররা বাবর আজমকে ভীত অধিনায়ক হিসাবে আখ্যায়িত করে থাকেন। তাদের মতে বাবরের ডিসিশন নেওয়ার ক্ষমতা অনেক কম। বিশ্বকাপেও বাবর আজমের অধিনায়কত্বের ধার দেখা যায়নি।
বিশ্বকাপে বাজে অধিনায়কের সঙ্গে ব্যাটসম্যান বাবর আজমের দায়িত্বহীন ব্যাটিংও পাকিস্তান দলকে ডুবিয়েছে। সেমিফাইনালের আগেই ভারতের মাটি থেকে ফিরে এসেছে পাকিস্তান দল। বিশ্বকাপের নয় ম্যাচ থেকে চার জয়ে ৮ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট তালিকার পঞ্চম স্থানে বিশ্বকাপ শেষ করে পাকিস্তান।
যার ফলেই বাবর আজমকে অধিনায়কের পদ থেকে সরানোর জোর দাবি জানাই পাকিস্তানি সমর্থকেরা। অনেকের মতেই অধিনায়কত্বের চাপেই নিজের সেরা খেলাটা খেলতে পারছেন না পাক অধিনায়ক। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) বিশ্বকাপের পরে পাকিস্তানের পারফরম্যান্স সম্পর্কে আলোচনায় বসবে বলেও জানিয়েছিলো।
আজই পিসিবর সঙ্গে আলোচনায় বসবে পাকিস্তানের প্রধান কোচ গ্রান্ট ব্রাডবার্ন অধিনায়ক বাবর এবং ভার্চুয়ালি যোগ দেবেন পাকিস্তান দলের টিম ডিরেক্টর মিকি আর্থার। তাদের সঙ্গে আলোচনায় বসেই পরবর্তী সিদ্ধান্ত জানাবে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড। তবে পাকিস্তানের বিভিন্ন গণমাধ্যমেগুলোতে এরই মধ্যে খবর ছড়িয়ে পড়েছে অধিনায়কের পদ থেকে সরে দাঁড়াচ্ছেন বাবর আজম।
পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যমগুলো দাবি করছে বাবর আজমকে স্বেচ্ছায় পাকিস্তানের অধিনায়কের পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর সুযোগ দেওয়া হবে তিনি সেটি না করলে তাকে পিসিবির পক্ষ থেকেই নোটিশ দেয়া হবে। তারা আরো দাবি করেছে লাল ও সাদা বলের জন্য দুই অধিনায়কত্বের সিদ্ধান্ত নিয়েছে পিসিবি। সে ক্ষেত্রে লাল বলের অধিনায়কত্বের দায়িত্ব পাওয়ার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি এগিয়ে আছেন শান মাসুদ আর সাদা বলের অধিনায়কত্ব পাওয়ার দায়িত্বে এগিয়ে রয়েছেন শাহিন শাহ আফ্রিদি।