পাকিস্তান ক্রিকেটে ঘটে চলছে একের পর এক অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা। বিশেষ করে বিশ্বকাপে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ৮ উইকেটে হারের পর আরো বেশি সমালোচনার জন্ম দিয়েছে পাকিস্তান ক্রিকেট। একটির পর একটি গোপন তথ্য ছড়িয়ে পড়ছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। এরই মাঝে পাকিস্তান ক্রিকেটের প্রধান নির্বাচক ইনজামাম উল হক পদত্যাগ করেছেন।
এরপরেও বিতর্ক থামছে না পাকিস্তান ক্রিকেটে। নতুন বিতর্কের সৃষ্টি হচ্ছে। আফগানিস্তানের বিপক্ষে হারের পর পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেটার রশিদ লতিফ তার একটি সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, “বাবর আজম পিসিবি বোর্ড চেয়ারম্যান জাকা আশরাফকে ফোন করলেও ফোন ধরছেন না তিনি। বাবর আজম তাকে মেসেজ করলে মেসেজের জবাবও দেননি জাকা আশরাফ।”
এবার এই ঘটনার সত্যতা প্রমাণ করতে যেয়েই বড় বিপাকে পড়েছে পাকিস্তান বোর্ড চেয়ারম্যান জাকা আশরাফ। পাকিস্তান টিভি চ্যানেল ‘এআরওয়াইকে’ দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে জাকা আশরাফ বলেন, “লতিফ বলেছে আমি বাবর আজমের ফোন ধরিনি। আসলে বাবর আজব আমাকে কোন ফোন করেনি। দলের অধিনায়কের ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট ডিরেক্টর বা চিফ অপারেটিং অফিসারের সঙ্গে আলোচনা করার কথা।”
এক পর্যায়ে নিজের কথার সত্যতা প্রমাণ করতে গিয়ে বাবর আজম এবং পিসিবির প্রধান পরিচালক কর্মকর্তার কথোপকথনের স্ক্রিনশট দেখান আশরাফ। সেই কথোপকথনে দেখা যায় , পাকিস্তান অধিনায়ক বাবরকে পিসিবির প্রধান পরিচালক সালমান জিজ্ঞেস করেন তুমি কি চেয়ারম্যানকে ফোন করেছিলে। এর জবাবে অধিনায়ক বলেছিলেন, সালাম সালমান ভাই। আমি স্যারকে কোন ফোন করিনি।
এমন ঘটনার পরেই পাকিস্তান চেয়ারম্যানের প্রতি ক্ষেপেছেন পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেটাররা। তাদের মতে, কারোর ব্যক্তিগত মতামত আপনি তার অনুমতি ছাড়া কিভাবে টিভিতে প্রকাশ করতে পারেন। কাজটি করা মোটেও উচিত হয়নি পাকিস্তান চেয়ারম্যান জাকা আশরাফের। এ ব্যাপারে পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেটার ও কোচ ওয়াকার ইউনুসও মুখ খুলেছেন। তার মতে বাবর আজমকে এবার রক্ষা দেওয়া উচিত।
তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে লিখেছেন, “আমরা আসলে কি করার চেষ্টা করছি সত্যি আমি জানিনা। এখন তো আমরা সবাই খুশি, তাই হয়তো হবো। দয়া করে এবার বাবর আজমকে রেহাই দিন। তিনি পাকিস্তান দলের সবচেয়ে বড় সম্পদ।”