পাকিস্তানি টিম ডিরেক্টর থাকা অবস্থায় মিকি অর্থারকে নিয়ে কম সমালোচনা হয়নি পাকিস্তান গণমাধ্যমগুলোকে। পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেটাররা সবসময় সমালোচনার মধ্যে রেখেছিলেন তাকে। তিনি পাকিস্তানের দলের হয়ে কি কাজ করতেন? সেটা নিয়েও প্রশ্ন ছিল অনেকের মনে। তাকে নিয়ে সমালোচনার আরো একটি বিশেষ কারণ ছিল পাকিস্তান দলের টিম ডিরেক্টরের পাশাপাশি কাউন্টির দল ডার্বিশায়ারের কোচ ছিলেন তিনি।
ফলে কাউন্টির মৌসুমে পাকিস্তান দলের সঙ্গে সফর করতেন না তিনি। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে চুক্তি করার সময় এই শর্ত জুড়ে দিয়েই ২০২৩ সালে নতুন চুক্তি স্বাক্ষর করেছিলেন মিকি আর্থার। উইজডেনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সমালোচকদের কঠিন জবাব দিয়েছেন তিনি। মিকি বলেছেন, “যারা আমার সমালোচনা করেছে তারা আমাকে ব্যক্তিগতভাবে জানেনা। আমি কোন ব্যাপারে শতভাগ হস্তক্ষেপ না করতে পারলে সে কাজ কখনো হাতে নেই না। আমি কখনোই পাকিস্তানের অনলাইন কোচ ছিলাম না। আমি দলের সকল খুঁটিনাটি বিষয় পর্যায়লোচনা করেছি। আমি পাকিস্তান কোচ গ্রান্ট ব্রাডবার্নকেও সব সময় সহায়তা করার চেষ্টা করেছি। আমি সবসময় পাকিস্তানের ড্রেসিংরুমে থাকবো না সেটা জেনেই তারা আমাকে চুক্তিবদ্ধ করেছিল।”
পাকিস্তান দল বিশ্বকাপে বাজে পারফরম্যান্স করার পরে মিকিকে দল থেকে ছাটাই করা হয়। নয় ম্যাচ থেকে মাত্র পাঁচ জয় পেয়ে প্রথম রাউন্ড থেকে বিদায় নেয় পাকিস্তান দল। পাকিস্তানের এই দুর্দশার কারণ হিসেবে বিশ্বকাপের মাঝে ভারতের ম্যানেজমেন্টকে দোষ দিয়েছিলেন তিনি। নিজের এই সাক্ষাৎকারে আবারো ভারতের দিকে আঙ্গুল তুলেছেন তিনি।
সাবেক দক্ষিণ আফ্রিকান তার সাক্ষাৎকারে বলেছেন, “সেখানে পাকিস্তানের কোন সমর্থন না থাকায় আমাদের বেশি ভুগতে হয়েছে। দর্শক না থাকায় পাকিস্তানি খেলোয়াড়েরা অনুপ্রেরণা পায়নি। সারা পৃথিবীর লোক সবুজের সমুদ্র দেখতে ভালোবাসে কিন্তু ভারতে সেটি দেখা যায়নি। বিশ্বকাপের মঞ্চে এমন হওয়াটা অস্বাভাবিক। এটি পাকিস্তানের খেলোয়াড়দের উপর বিশেষ প্রভাব ফেলেছে।”