ইডেনের ম্যাচ মানেই পুরনো দিনের সেই ক্রিকেটের দেখা যে ক্রিকেটে ইচ্ছে মত ব্যাট চালিয়েই রান পাওয়া যাবে না। ব্যাটসম্যানদের রানের জন্য যুদ্ধ করতে হবে, বোলাররা অল্প স্কোরেও ম্যাচে থাকতে পারবেন। বিশ্বকাপে ৪০০ রান দেখার পাশাপাশি ইডেনে তাই ২০০+ স্কোরেও ম্যাচ জমতে দেখা গিয়েছে।
সেমিফাইনালে দক্ষিন আফ্রিকা আগে ব্যাট করে খুব বেশি রান করতে পারেনি। অস্ট্রেলিয়ার বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে দক্ষিন আফ্রিকা করতে পারে ২১২ রান। ডেভিড মিলার এক প্রান্ত আগলে রেখে সেঞ্চুরি করেছেন। মিচেল স্টার্ক ও প্যাট কামিন্স তিনটি করে উইকেট নিয়েছেন। হ্যাজলউড নিয়েছেন দুইটি উইকেট।
তবে দুইটি উইকেট নেওয়া হেড মুলত খুব গুরুত্বপূর্ণ দুইটি উইকেট নিয়েছেন পরপর। মাঝের ওভারে খুবই ভয়ংকর হয়ে ওঠা ক্লাসেনকে ফেরান তিনি। ঐ দুইটি উইকেট দক্ষিন আফ্রিকাকে বড় সংগ্রহ দাঁড় করাতে দেয়নি। ২১২ রানের লক্ষ্যটা খুব স্বাভাবিক ভাবেই তাই অজিদের সামনে খুব বড় লক্ষ্য হবার কথা না।
তবে ইডেন বলেই সেই সহজ লক্ষ্যটাও কঠিন হলো অস্ট্রেলিয়ার জন্য। দুই ওপেনার ওয়ার্নার এবং হেড ভালো শুরু করলেও এরপরই যেন ধ্বস শুরু হয়। ওয়ানডের সেরা বোলার মহারাজকে দিয়ে শুরু, এরপর দক্ষিন আফ্রিকার একের পর এক বোলাররা উইকেট নিতে থাকেন।
তবে মাঝখানে গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ও স্টিভেন স্মিথের পার্টনারশিপটা আবার ম্যাচে ফেরায় অস্ট্রেলিয়াকে। এরপর সামসি ও কোয়াটজা পরপর দুই উইকেট নিয়ে আশা জাগান আবারও৷
শেষ পর্যন্ত অজিরা ম্যাচটা জিতেছে তবে ইডেন মনে করিয়েছে এই মাঠে পাঁচটা রানও অনেক গুরুত্বপূর্ণ। তিন উইকেটে অস্ট্রেলিয়া ম্যাচটা জিতে আহমেদবাদের পথে ধরেছে। স্বাগতিক ভারতের বিপক্ষে রবিবারে ফাইনালে মুখোমুখি হবে পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
দক্ষিণ আফ্রিকা: ৪৯.৪ ওভারে ২১২ (ডি কক ৩, বাভুমা ৪, ফন ডার ডাসেন ৬, মার্করাম ১০, ক্লসেন ৪৭, মিলার ১০১, ইয়ানসেন ০, কুটসিয়া ১৯, মহারাজ ৪, রাবাদা ১০, শামসি ১*; স্টার্ক ১০-১-৩৪-৩, হেইজেলউড ৮-৩-১২-২, কামিন্স ৯.৪-০-৫১-৩, জ্যাম্পা ৭-০-৫৫-০, ম্যাক্সওয়েল ১০-০-৩৫-০, হেড ৫-০-২১-২)
অস্ট্রেলিয়া: ৪৭.২ ওভারে ২১৫/৭ (হেড ৬২, ওয়ার্নার ২৯, মার্শ ০, স্মিথ ৩০, লাবুশেন ১৮, ম্যাক্সওয়েল ১, ইংলিস ২৮, স্টার্ক ১৬*, কামিন্স ১৪*; ইয়ানসেন ৪.২-০-৩৫-০, রাবাদা ৬-০-৪১-১, মার্করাম ৮-১-২৩-১, কুটসিয়া ৯-০-৪৭-২, শামসি ১০-০-৪২-২, মহারাজ ১০-০-২৪-১)
ফল: অস্ট্রেলিয়া ৩ উইকেটে জয়ী
ম্যান অব দা ম্যাচ: ট্রাভিস হেড