শিল্প নাকি ঝড়! নাকি আরব রুপকথা গুঁড়িয়ে দেওয়া ওশেনিয়ার কোন গডজিলার ধ্বংসযজ্ঞ। ম্যাক্সওয়েল যা করে দেখালেন তা হার মানাবে অতীতের সব কিছুকেই। গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ভারতের বিখ্যাত ওয়াংখেড়েতে যা করলেন তা মনে থাকবে সহস্র বছর।
শুরুতে আফগান জালেবির গান যেন বাজতে শুরু করেছিল সবত্র, তা থামিয়ে অজি রক সংগীত বাজিয়েই মাঠ ছাড়লেন ম্যাক্সওয়েল। হাঁটতে পারছিলেন না পর্যন্ত ক্র্যাম্প করার জন্য, ফুটওয়ার্কের তোয়াক্কা না করেও একের পর এক ছক্কা মেরেছেন।
২৯০ এর ঘরের রানটা অস্ট্রেলিয়ার জন্য খুব সহজ হবে না সেটা মনে হয়েছে শুরুতেই কিন্তু শ’খানেক রান না পেরোতেই পাঁচটা উইকেট পতন অস্ট্রেলিয়াকে রীতিমতো বড় বিপদে ফেলে দেই। ম্যাক্সওয়েল একপাশে দাঁড়িয়ে থেকে ওপাশে আসা যাওয়া দেখেছেন শুধু। এরপরই কামিন্সকে নিয়ে গল্প লিখেছেন নিজের মত করে। যা ইচ্ছে করেছেন, নিজের মত করে রুপকথা লিখেছেন।
ম্যাক্সওয়েল ২০১ রান করেছেন ১২৮ বলে, যেখানে ছক্কা মেরেছেন ১০ টা, চার মেরেছেন ২১ টা। সুতরাং শুধু বাউন্ডারি মেরেই ম্যাক্সওয়েল রান করেছেন ১৪৪ রান। একপাশে দাঁড়িয়ে অধিনায়ক কামিন্স শুধু নিজের ঠিকঠাক দায়িত্বটা পালন করে গেছেন। ক্যাপ্টেন কখনো এর আগে এর থেকে ভালো উপভোগ করেছেন কিনা জানা নেই।
এই ম্যাচ জিতে তৃতীয় দল হিসেবে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে উঠে গেলো অস্ট্রেলিয়া। খুব বেশি পরিবর্তন না হলে অস্ট্রেলিয়া মুখোমুখি হবে সেমিফাইনালে ভারতের বিপক্ষে।
ইব্রাহীম জাদরানের এক পাশ আগলে রাখা সেঞ্চুরি ইনিংসের কল্যানের সাথে রশীদ খানের ১৮ বলে ৩৫ রানের ক্যামিওতে বেশ ভালো রানই পেয়েছিল আফগানরা। বোলিংয়ে শুরুটাও ছিল স্বপ্নের মতই। কিন্তু ম্যাক্সওয়েলের দিনে সেসব কিছুই ফিকে হয়েছে। ডাবল সেঞ্চুরিটাও করেছেন, যেন অপূর্ন থাকেনি কিছুই।