বাংলাদেশ বনাম শ্রীলংকা ম্যাচে শ্রীলংকার ইনিংসের মাঝপথে ঘটেছে বহুল আলোচিত একটি আউট। আউটটি হয়েছেন শ্রীলঙ্কান অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস। ক্রিকেট ইতিহাসে প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে টাইম আউটে আউট করেছেন অ্যাঞ্জেলো। আইসিসির ৪০.১.১ ধারায় বলা হয়েছে, ‘উইকেট পতনের পর পরবর্তী ব্যাটসম্যানকে দুই মিনিটের মধ্যেই নিজের প্রথম বল মোকাবেলা করার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। সেই কাজটি করতে পারেননি অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস। যার ফলে প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে টাইম আউট হয়েছে তিনি।
তবে ক্রিকেটে এই ধরনের উইকেটে আপিল করা সঠিক সিদ্ধান্ত ছিল কিনা বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের সেটা নিয়েই চলছে তর্ক বিতর্ক। অনেকের কাছে সাকিবের আপিল করাটি ক্রিকেটের পরিপন্থী আবার অনেকে বলছেন সাকিব সঠিক কাজটি করেছে। ক্রিকেটে যে নিয়মগুলো তৈরি করা হয়েছে তার মধ্যে থেকে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সাকিব।
সাকিবকে সঙ্গ দিয়েছেন ভারতের ক্রিকেট বিশ্লেষক ও জনপ্রিয় ধারাভাষ্যকর হার্শা ভোগলে। হার্শা ভোগলের সঙ্গে সাকিবকে সঙ্গ দিয়েছেন পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেটার মঈন খান। সাকিবের বিপক্ষেও কথা বলেছেন অনেকে। তাদের মধ্যে রয়েছে ওয়াসিম আকরাম মিসবাহ উল হক।
হার্শা ভোগলে বলেছেন, “সাকিব ক্রিকেটের বাইরে যেয়ে কিছু করেনি। নিয়মের মধ্যে থেকেই সে আবেদন করেছে। যারা দুর্বল যুক্তি তুলে ধরেছে তারা ক্রিকেট সম্পর্কে অজ্ঞ না। ক্রিকেটে নিয়ম মেনে আপনি সবকিছুই করতে পারবেন। ম্যাথিউস এবং শ্রীলংকা সমর্থকেরা হতাশ হতেই পারে। কিন্তু খেলার নিয়ম অনুযায়ী ম্যাথিউস আউট।”
মঈন খান বলেছেন, “আমি সাকিবের জায়গায় থাকলে আমিও আবেদন করতাম। ক্রিকেটের নিয়মের বাইরে কোন কিছু নয়। সাকিব যা করেছে তার সঙ্গে আমি একমত।”
ওয়াসিম আকরাম বলেছেন, “সাকিব ক্রিকেটের চেতনা বিরোধী কাজ করেছে। সেই মুহূর্তে তার আপিল করাটা মোটেও উচিত হয়নি।”
মিসবাহ উল হক বলেছেন, “আমি সাকিবের জায়গায় থাকলে কখনোই আবেদন করতাম না। একজন ব্যাটসম্যান এর ১৫ থেকে ২০ সেকেন্ড দেরি হতেই পারে তার জন্য আবেদন করে তাকে টাইম আউট করে দেওয়া উচিত হয়নি।”
সাকিবের বিপক্ষেই যুক্তিগুলো বেশি এসেছে। ডেল স্টেইন, শোয়েব আখতার, হরভজন সিং বেশিরভাগ ক্রিকেটারই সাকিবের বিপক্ষে যুক্তি দাড় করিয়েছেন।