চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে খেলতে পারার যোগ্যতা অর্জন নিয়েই বিশ্বকাপের শেষ কইদিনে বাংলাদেশের যত হাহাকার। বিশ্বকাপে বাজে পারফরম্যান্স মেনে নেবার থেকেও কঠিন ছিল আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে খেলতে না পারাটা মেনে নেওয়া। বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে গিয়েও তাই এক অর্থে শেষ ম্যাচগুলো বাঁচা মরার লড়াই হয়ে উঠেছিলো বাংলাদেশের জন্য।
৪১.১ ওভারে ম্যাচটা জেতায় বাংলাদেশের জন্য সে রাস্তাটা এখন অনেকটাই পরিস্কার। শর্ত সাপেক্ষে বাংলাদেশের জন্য চ্যাম্পিয়নস ট্রফির দরজা এখন খোলা বলা যেতে পারে। সেটা কিভাবে সেই সমীকরণটিই মেলানো যাক।
পাকিস্তান আয়োজক দেশ হবার কারনে ২০২৫ চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে সরাসরি খেলবে দলটি। তাদের বাইরে আর ৭ টি দেশ সরাসরি অংশ নিবে৷ নিয়ম অনুযায়ী এই বিশ্বকাপেরই শীর্ষ ৮ দল টুর্নামেন্টে অংশ নেবার সুযোগটা পাবে। স্বাগতিক পাকিস্তানসহ ছয়টি দল এরই মধ্যে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষ আটে থেকে প্রথম পর্ব শেষ করা নিশ্চিত করে ফেলেছে, তাই এখন লড়াই শুধু ৭ ও ৮ নম্বরের জন্য।
ওই দুই স্থানের জন্য লড়াইয়ে আছে চারটি দল—শ্রীলঙ্কা, নেদারল্যান্ডস, বাংলাদেশ ও ইংল্যান্ড। বাংলাদেশের বাকি আছে ১ টি ম্যাচ, সেই ম্যাচ জিতলে বাংলাদেশের পয়েন্ট হবে ৬, তখন কোন রকম হিসেব ছাড়াই শীর্ষ ৮ এ থাকবে বাংলাদেশ। কিন্তু যদি বাংলাদেশ হেরে যায় তবে কি হবে?
নেদারল্যান্ডস ও ইংল্যান্ডের মধ্যকার একটি ম্যাচ আছে যেখানে একটি দল হারবে, এবং স্বাভাবিকভাবেই সেই দলটিই রান রেটে পিছিয়ে ৮ দলের বাইরে চলে যাবে। নেদারল্যান্ডস ৪ পয়েন্ট পেলেও রানরেটে বাংলাদেশের পিছনে অবস্থান করছে, তাই জেতা ছাড়া বাংলাদেশের উপরে ওঠার কোন সূযোগ নেই। আর নেদারল্যান্ডস জিতে গেলে তখন ইংল্যান্ড কোনভাবেই আর শীর্ষ ৮ এ উঠতে পারছে না। সুতরাং এই ম্যাচটিতে ফলাফল যেটিই হোক তা বাংলাদেশের পক্ষে যাবার সম্ভাবনাটাই বেশি।
শ্রীলংকার ম্যাচ বাকি আছে ১ টি। বাংলাদেশের মূল শঙ্কা এই ম্যাচটি ঘিরেই। এই ম্যাচে শ্রীলংকা জিতলে বাংলাদেশের জিততেই হবে পরের ম্যাচটি। শ্রীলংকার প্রতিপক্ষ এর পরের ম্যাচে নিউজিল্যান্ড। বিশ্বকাপে দারুন ফর্মে না থাকা কিউইদের খুব বেশি ছন্দপতন না হলে ম্যাচটি জেতার কথা ওদেরই। এই একটা জায়গাতেই একটু চিন্তামুক্তি। তবে ক্রিকেটে শেষ বলে কিছু নেই, কোনভাবে লঙ্কানরা হারালেই বাংলাদেশকেও হারাতে হবে অস্ট্রেলিয়াকে।