ওয়ানডে ক্রিকেট নিয়ে দুশ্চিন্তা বাড়ছে সাবেক ক্রিকেটারদের মাঝে। অনেকের মতে ওয়ানডে ক্রিকেটটা দিনে দিনে বোরিং হয়ে যাচ্ছে। মানুষ টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট বা আরো ছোট ফরমেট দেখতে আগ্রহী হচ্ছে। ওয়ানডে ক্রিকেটের সময়সীমা সাধারণত ৭ থেকে ৮ ঘন্টা। এত লম্বা সময় ক্রিকেট ম্যাচ দেখার ধৈর্য হারাচ্ছে দর্শকেরা। অনেকে তো ওয়ানডে ক্রিকেটের ভবিষ্যতই দেখছেন না। এবারের ওয়ানডে বিশ্বকাপে দর্শকের সংখ্যাও বেশ কমেছে। সাবেক দক্ষিণ আফ্রিকান অধিনায়ক এবি ডি ভিলিয়ার্সের ও মনে হয়েছে ওয়ানডে ক্রিকেট বড্ড ধীরগতির। মিস্টার থ্রি সিক্সটি ডিগ্রি খ্যাত এবি ডি ভিলিয়ার্স ওয়ানডে ক্রিকেটে পরিবর্তন আনতে চান। তার মতে ওয়ানডে ক্রিকেট ৫০ ওভারের বদলে ৪০ ওভারের করা উচিত। এর মধ্যেও নিজের পদ্ধতি জুড়ে দিয়েছেন তিনি।
নিজের ইউটিউব চ্যানেলে ওয়ানডে ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে ভিলিয়ার্স বলেছেন, “ওয়ানডে ক্রিকেটটা ধীরগতির খেলা হয়ে উঠেছে। এবারের বিশ্বকাপেও আমি সেটি অনুভব করেছি। সেজন্যই ৫০ ওভারের খেলাটাকে ৪০ ওভারে রূপান্তর করা যেতে পারে। এরমধ্যে আরো রোমাঞ্চকর কিছু যোগ করা যেতে পারে। মনে করুন ৪০ ওভারকে দুই ভাগে ভাগ করে টি-টোয়েন্টির মতো ম্যাচ খেলা যেতে পারে। মানুষ টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে বেশি রোমাঞ্চ খুঁজে পাই। আর ওয়ানডে ক্রিকেটকে টি টোয়েন্টির মতো রূপ দিলে মন্দ হয় না।
এরপর তিনি যোগ করেন, “৪০ ওভারের ক্রিকেটকে দুইটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচে রূপান্তর করা যায়। প্রথম টি-টোয়েন্টিতে একদল ব্যাটিং করার পর অন্য দল ব্যাটিং করবে। তারপর দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচের রানগুলো প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচের রানের সঙ্গে যোগ হবে। এরপরে যার রান বেশি থাকবে সেই দলকেই বিজয় ঘোষণা করা হবে। দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে আপনি ১৫ জনের স্কোয়াড থেকে নতুন কাউকে যোগ করে খেলার রোমাঞ্চ বাড়াতে পারেন। ধরুন আপনি যদি ৩০ রান পিছিয়ে থাকেন তাহলে অতিরিক্ত একজন ব্যাটসম্যানকে নামিয়ে আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলতে পারেন।”
এভাবেই ওয়ানডে ক্রিকেটের রোমাঞ্চ বাড়াতে চান ভিলিয়ার্স। তবে তিনি প্রথম ব্যক্তি নয় এর আগেও ওয়ানডে ক্রিকেটে দুই ভাগে বিভক্ত করার পরামর্শ দিয়েছেন ভারতের সাবেক ক্রিকেটার শচীন টেন্ডুলকার। তার মতেও ওয়ানডে ক্রিকেটে রোমাঞ্চো আনতে নতুন কিছু করতে হতে হবে আইসিসিকে।
আইসিসিকেও পরামর্শ দিয়েছেন এবি ডি ভিলিয়ার্স। তিনি বলেছেন, “সবাই টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটকে ভালোবাসে। তাই আপনাকে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটকে প্রাধান্য দিতে হবে। পঞ্চাশ ওভারের খেলায় দুটো টি-টোয়েন্টি ম্যাচের আয়োজন করা যেতেই পারে যার মাধ্যমে সৃজনশীলতা বাড়বে। আর ক্রিকেটে এখন সৃজনশীলতার প্রয়োজন। আইসিসিকে এই ব্যাপারে ভাবতে হবে।”