ওয়ানডে বিশ্বকাপের পর নিজেদের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা শুরু করে দিয়েছে দলগুলো। তবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাপারটা একটু ভিন্ন। ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপের মূল পর্বে জায়গা করে নিতে পারেনি তারা। বিশ্বকাপ জেতা প্রথম কোন দল হিসেবে বিশ্বকাপের মূল পর্বে অংশগ্রহণ করতে পারেনি তারা। এই স্মৃতি দ্রুতই ভুলে যেতে চাইবে দুইবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। সেই লক্ষ্য নিয়েই এবার ওয়ানডে দল ঘোষণা করেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
নিজেদের ঘরের মাঠে তিন ম্যাচের ওয়ানডে এবং পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এই সিরিজে ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রতিপক্ষ হবে দুঃস্বপ্নের মত বিশ্বকাপ কাটানো ইংল্যান্ড। বিশ্বকাপ ব্যর্থতার পরে ইংল্যান্ডও নিজেদের গুছিয়ে নিতে চাইবে এই সিরিজে। তারাও নতুন করে সব কিছু শুরু করতে চাইবে। ৩ ডিসেম্বর ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচ অ্যান্টিগায় অনুষ্ঠিত হবে। ৬ ডিসেম্বর একই মাঠে দ্বিতীয় ওয়ানডে ও ৯ ডিসেম্বর বার্বাডোজে মাঠে নামবে দুই দল।
ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ওয়ানডে সিরিজে যথারীতি ওয়েস্ট ইন্ডিজের অধিনায়কত্ব পালন করবেন শাই হোপ। তবে ওয়ানডে দলে জায়গা হয়নি জেসন হোল্ডার ও নিকোলাস পুরাণের। দলে জায়গা পেয়েছেন শারফানে রাদারফোর্ড। ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে রাদারফোর্ড ওয়েস্ট ইন্ডিজের সবচেয়ে বড় প্রতিভাবান খেলোয়াড়ের তালিকায় ছিলেন। তবে ২০১৮ সালে টি-টোয়েন্টি অভিষেকের পর নিজের জায়গা পাকাপোক্ত করতে পারেননি তিনি। ওয়ানডেতে এখন পর্যন্ত অভিষেকও হয়নি তার। এই সিরিজেই সবকিছু আবার নতুন করে শুরু করতে চাইবেন তিনি। ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলে নতুন মুখ পেসার ম্যাথিউ ফোর্ড। প্রথমবারের মতো ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলে ডাক পেয়েছেন তিনি।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের দল নিয়ে দারুণ আশাবাদী ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রধান নির্বাচক হেইনস। তিনি তার একটি সাক্ষাৎকারে বলেছেন, “আমি আশা করছি এই সিরিজে দারুন লড়াই দেখতে পাবো। ঘরের মাঠে ভালো করার জন্য মুখিয়ে আছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দল। আমাদের মূল লক্ষ্য ২০২৭ ওয়ানডে বিশ্বকাপে ভালো ফলাফল করা। আমরা সেই লক্ষ্যেই আমাদের কাজে এগিয়ে যাচ্ছি।”
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ওয়ানডে দল: শাই হোপ (অধিনায়ক), অ্যালিক অ্যাথানাজে, ইয়ানিক ক্যারিয়াহ, কেসি কার্টি, রস্টন চেজ, শেন ডওরিচ, ম্যাথিউ ফোর্ড, শিমরন হেটমায়ার, আলজারি জোসেফ, ব্র্যান্ডন কিং, গুদাকেশ মোতি, কেজর্ন ওটলি, শেরফেন রাদারফোর্ড, রোমারিও শেফার্ড ও ওশানে থমাস।