বিশ্বকাপের আগে বিশ্বকাপ জেতার হট ফেভারিটের তালিকায় ছিল ইংল্যান্ড দল। তবে বিশ্বকাপের পারফরম্যান্স যত দ্রুত সম্ভব ভুলে যেতে চাইবে ইংল্যান্ড। একটা সময় ২০২৫ সালের চ্যাম্পিয়ন ট্রফিতে অংশগ্রহণ করা নিয়েও টানাপোড়ন দেখা গিয়েছিল জস বাটলারের দলের। যদিও শেষ পর্যন্ত এই ধাপটা পার করে ফেলে ইংল্যান্ড দল।
বিশ্বকাপের পর ওয়েস্ট ইন্ডিজের ঘরের মাঠে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজেও একই দশা দেখা যায় ইংল্যান্ড দলের। ২-১ ব্যবধানে ওয়ানডে সিরিজ হেরে যায় দলটি। এরপরে নতুন ফরম্যাট টি-টোয়েন্টিতে নিজেদের আবারো ফিরে পাবার চেষ্টা ইংল্যান্ডের। তবে টি-টোয়েন্টিতে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা আবারো ব্যর্থ। ৫ ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজে ২-০ ব্যবধানে পিছিয়ে পড়েছে তারা।
প্রথম ম্যাচে ৪ উইকেট হারের পর দ্বিতীয় ম্যাচেও ১০ রানে হেরেছে ইংল্যান্ড। গ্রানাডা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টসে জিতে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ইংল্যান্ড অধিনায়ক জস বাটলার। শুরুতে দারুন ভাবে চেপে ধরা হয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজকে। নবম ওভারের খেলায় ৫৬ রান করে ৪ উইকেট হারিয়ে বসে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এখান থেকে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ইনিংসকে সামনে এগিয়ে নেন ওপেনার ব্র্যান্ডন কিং ও রোভমান পাওয়েল। দুজনে মিলে ৮০ রান যোগ করেন। ২৮ বলে ৫০ রান তুলে সাজঘরে ফিরে যান অধিনায়ক রোভামান পাওয়েল।
আগের ম্যাচে ব্যাট হাতে বিধ্বংসী ইনিংস খেলা আন্দ্রে রাসেল এ ম্যাচে খুব বেশি কিছু করে উঠতে পারেননি। ১০ বলে ১৪ রান করেন তিনি। অপরপ্রান্তে ব্র্যান্ডন কিং তার সহজাত খেলা অব্যাহত রাখে। শেষ পর্যন্ত ৫২ বল থেকে ৮২ রান করে অপরাজিত থাকেন তিনি। ওয়েস্ট ইন্ডিজের সংগ্রহ দ্বারায় ৬ উইকেটে ১৭৬ রান। আদিল রশিদ অসাধারণ বোলিং করেন ৪ ওভারে ১১ রান দিয়ে নেন দুই উইকেট।
১৭৭ রানের লক্ষ্যে দেখেশুনে ইনিংস বড় করার চেষ্টা করে ইংল্যান্ড ব্যাটসম্যানরা। কিন্তু দলীয় ৯ রানে ফিরে যান অধিনায়ক বাটলার। ফিল সল্ট ও উইল জ্যাকস বড় পার্টনারশিপ করার চেষ্টা করলে সল্ট ২৫ রানে এবং জ্যাকস ২৪ রানে ড্রেসিংরুমের পথ ধরেন। এরপরে ইংল্যান্ডের হয়ে একা লড়াই চালান স্যাম কুরান। ব্যাটিং অর্ডারের উন্নতি হয়ে চতুর্থ নম্বরে নেমে ৩২ বল থেকে ৫০ রান করেন তিনি। স্যাম কুরানকে সঙ্গ দিতে পারেননি ইংল্যান্ডের আর কোন ব্যাটসম্যান। লিয়াম লিভিংস্টোন ১৭ এবং মইন আলী ২২ রান করেন। এমন হতাশা জনক ব্যাটিংয়ে ১০ রানে হেরেছে ইংল্যান্ড। আগামীকাল তৃতীয় ম্যাচে ঘুরে দাঁড়াতে না পারলে ওয়ানডের মতো টি-টোয়েন্টি সিরিজও হেরে বসবে ইংল্যান্ড।