গত দুই বছরে বাংলাদেশ দলের পেস বোলিংয়ের বড় অস্ত্র ছিলেন তাসকিন আহমেদ। তবে বিশ্বকাপে নিজের সেরাটা দিতে পারেননি তিনি। তার পারফরম্যান্স নিচের দিকে নামার পিছনে একটি মুখ্য কারণও রয়েছে। সেটি হলো তার কাঁধের চোট। তার কাঁধের চোট কখনো পুরোপুরি সুস্থ হয়নি। ম্যানেজ করে খেলে গিয়েছে তিনি। কিন্তু বিশ্বকাপে তার কাঁধের ব্যথা বেড়ে যাওয়ায় বিশ্বকাপের দুই ম্যাচ মিস করেন তিনি।
বিশ্বকাপে নেদারল্যান্ড ম্যাচের আগে সংবাদ সম্মেলনে এসে তাসকিন বলেছিলেন, “আমাকে যখন কাঁধের ইনজুরির জন্য ইংল্যান্ডে পাঠানো হয়েছিল। ডাক্তার বলেছিল ঠিক হবে কি, হবে না এর কোন গ্যারান্টি নেই। সে বলেছিল ঠিক হতে এক বছরেরও বেশি সময় লাগবে। সে আমাকে আরেকটি অপশন দিয়েছিল সেটি হল পুনর্বাসন। পরে দেড় মাসের পুনর্বাসন শেষ করেই আল্লার অশেষ রহমতে এখন পর্যন্ত খেললাম। এখন ব্যথাটা একটু বেড়ে গেছে। বিশ্বকাপের পরে হয়তো আবারোও পুনর্বাসনে যাওয়ার কথা চিন্তা করবে বোর্ড। অস্ত্রোপচার হয়তো শেষ অপশন হবে। তবে পেস বোলারদের সবারই ছোটখাটো কিছু ইনজুরি থাকে সেগুলো ম্যানেজ করে খেলতে হয় তাদের।”
এবার তাসকিনের কথা সত্যি করে বোর্ড তাসকিনকে নিয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তারা লম্বা সময় বিশ্রামে পাঠাবে তাসকিনকে। ইনজুরি মুক্ত তাসকিনকে ফিরে পেতে চেষ্টা করবে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। এজন্যই নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে পাওয়া যাবে না তাসকিন আহমেদকে। আগামী ২৮ নভেম্বর ও ৬ ডিসেম্বর নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ঘরের মাঠে টেস্ট সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ দল।
এরপরে বাংলাদেশ দল ওয়ানডে ও টি টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে নিউজিল্যান্ড সফরে যাবে। সেখানে তাসকিনকে পাওয়া যাবে বলে আশাবাদী বিসিবি। ১৭, ২০ ও ২৩ ডিসেম্বর তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ এবং ২৭, ২৯ ও ৩১ ডিসেম্বর তিন ম্যাচের তিনটি টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ।