বাংলাদেশ ক্রিকেট এই মুহুর্তে এমন একটা অবস্থানে আছে যেখানে দেশের ক্রিকেটটাকে একেবারে নতুন করে সাজানো উচিত বলেই মনে করা হচ্ছে। বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দল একেবারেই ভাল করতে পারেনি, বিপর্যয় এর অবস্থা এতটাই করুন যে আসন্ন চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে কোয়ালিফাই করার মত অবস্থানেও রীতিমত অসম্ভবের কাছে বাংলাদেশ। বিশ্বকাপে এমন অবস্থানে যাবার পেছনে হাথুরাসিংহের অবদান স্পষ্ট।
বিশ্বকাপ দল ঘোষণার আগে এবং এশিয়া কাপের আগে চান্দিকা হাথুরাসিংহে দলের মধ্যে অস্থিরতা তৈরী করেছেন। তামিম ইকবালকে অবসর নেওয়ার আগে মানসিক চাপে ফেলেছেন, সিরিজ শুরুর আগে বোর্ড সভাপতির কাছে ফোন করে মিথ্যাচার করে সেসময় এর অধিনায়ক তামিম ইকবালকে নিয়ে অহেতুক প্লট রচনা করেন। তামিম ইকবালের সাথে যোগাযোগ না করে পরিস্থিতি অশান্ত করে রাখেন।
ড্রেসিংরুমে ক্রিকেটারদের মানসিক অবস্থা বোঝার একেবারেই ধার ধারেননি তিনি। অহেতুক ব্যাটিং পজিশন পরিবর্তন করেছেন এবং এটি নিয়ে দলের মধ্যেও আছে অসন্তোষ। মাত্রাতিরিক্ত বিভাজন ছড়িয়েছে কোচিং প্যানেলেও । নিক পোথাস ছাড়া আর কোন কোচই কোচের সাথে মতের মিলের ক্ষেত্রে এক বিন্দুতে দাঁড়াতে পারছেন না। অ্যালান ডোনাল্ড থেকে শুরু করে হেরাথ কিংবা দীর্ঘদিন কাজ ভারতীয় কম্পিউটার এনালিস্টকেও কোচের অপছন্দের কারনে বিদায় করবার প্রস্তুতি নিচ্ছে বিসিবি।
এমন পরিস্থিতিতে হাথুরাসিংহকে উল্টো বিদায় করার পক্ষেই মত দেশের বেশিরভাগ মানুষ থেকে শুরু করে ক্রিকেট বিশ্লেষকদের। তবে ক্রিকেট বোর্ডের উপরমহল নাকি খুশি বেশ চান্দিকার কাজে। আগামী দিনগুলোতে উল্টো নিক পোথাস আর হাথুরাসিংহকে নিয়ে এগোতে চাই বোর্ড।
ক্রিকেট বোর্ডের সাথে প্রধান কোচের চুক্তির ধরনও এখানে বড় ভূমিকা পালন করছে বলেও মনে করছেন অনেকে। চুক্তিতে ঠিক কি লেখা আছে সেটা স্পষ্ট প্রকাশিত না হলেও বেশ বড় অর্থ ক্ষতিপূরণ দিতে হবে ক্রিকেট বোর্ডকে। সে পথে হাঁটার সম্ভাবনা কমই দেখছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড।