নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৪০২ রান তাড়া করার মাঝপথেও জয়ের আশা বাঁচিয়ে রেখেছিল পাকিস্তান। ২৫.৩ ওভারে এক উইকেট হারিয়ে পাকিস্তান তুলে নিয়েছিল ২০০ রান। যদিও পরবর্তী কাজটি আরো কঠিন ছিল পাকিস্তানের জন্য। তবে বৃষ্টি ভাগ্য পরিবর্তন করে দেয় বাবর আজমদের। বৃষ্টি শুরু হওয়ার ফলে ম্যাচ আর মাঠে গড়াতে পারেনি। যার ফলে ডিএলএস পদ্ধতিতে ২১ রানের জয় পায় পাকিস্তান।
তবে অসম্ভব ম্যাচে জয় পেয়ে স্বস্তিতে নেই বাবর আজমরা। সেমিফাইনালে ওঠা লড়াইয়ে এখনো বাকি দল গুলোর দিকে নজর রাখতে হবে তাদের। ৮ ম্যাচ খেলে ৮ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট তালিকার পঞ্চম স্থানে রয়েছে তারা। একই পরিসংখ্যান নিউজিল্যান্ডেরও তবে রানরেটে এগিয়ে থাকায় চতুর্থ স্থানে তারা।
সেমিফাইনালে উঠতে হলে পাকিস্তানকে পরবর্তী ম্যাচে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে জয় পেতে হবে। তাছাড়াও নজর রাখতে হবে শ্রীলঙ্কা বনাম নিউজিল্যান্ড ম্যাচে। সেই ম্যাচে নিউজিল্যান্ডকে হারতে হবে শ্রীলঙ্কাকে। তাহলেই সেমিফাইনালে উঠতে পারবে পাকিস্তান। আর যদি নিউজিল্যান্ড জিতে যায় তাহলে ইংল্যান্ডকে বিশাল বড় ব্যবধানে হারাতে হবে পাকিস্তানকে। নিউজিল্যান্ড ন্যূনতম একরানের জয় পেলেও পাকিস্তানকে জিততে হবে ১৩০ রানে।
আর যদি নিউজিল্যান্ডকে তারা রানরেটে পেছনে ফেলতে না পারে তাহলে আবার পাকিস্তানকে তাকিয়ে থাকতে হবে আফগানিস্তানের দুটি ম্যাচের ওপরে। আফগানিস্তান দুটি ম্যাচ হারলেই পাকিস্তান চলে যাবে সেমিফাইনালে। আর যদি একটি ম্যাচে জয় পায় তাহলে আবারো আফগানিস্তানকে রানরেটে পেছনে ফেলতে হবে পাকিস্তানকে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
নিউজিল্যান্ড: ৫০ ওভারে ৪০১/৬ (রবীন্দ্র ১০৮, উইলিয়ামসন ৯৫, মিচেল ৪১, চ্যাপম্যান ৩৯; ওয়াসিম ৩/৬০)।
পাকিস্তান: ২৫.৩ ওভারে ২০০/১ (ফখর ১২৬*, বাবর ৬৬*; সাউদি ১/২৭)।
ফল: পাকিস্তান ২১ রানে জয়ী (ডিএলএস পদ্ধতি)
ম্যাচসেরা: ফখর জামান