বর্তমান সময়ের খ্যাতিমান ক্রিকেট বিশ্লেষক ও ধারাভাষ্যকর ভারতের হার্শা ভোগলে। ক্রিকেট ওয়েবসাইট ক্রিকবাজের একটি প্রোগ্রামে হার্শা ভোগলে বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করা প্রতিটি দলের দুইজন খেলোয়াড়কে বেছে নিয়েছেন।
বাংলাদেশের পক্ষে তিনি বেছে নিয়েছেন মেহেদী হাসান মিরাজ এবং নাজমুল হোসেন শান্তকে। সাকিবকে তার ভীষণ পছন্দ। মুশফিক ও লিটনকেও বেশ পছন্দ করেন তিনি। তবে এই বিশ্বকাপে তার তুরূপের তাস নাজমুল হোসেন শান্ত ও মেহেদী হাসান মিরাজ।
হার্শা ভোগলে বলেছেন, “সাকিব আল হাসান আমার অন্যতম পছন্দের খেলোয়াড়। মাঠের বাইরে কিছুটা মেজাজি হলেও মাঠের মধ্যে নিখুঁত একজন খেলোয়ার তিনি। তবে বাংলাদেশকে বিশ্বকাপে ভালো কিছু করতে হলে সাকিবের থেকেও বেশি কিছু প্রয়োজন বাংলাদেশের। গত বিশ্বকাপেও সে ৬০০ রান করেছে। মুশফিক ও লিটনকেও বেশ পছন্দ আমার।
তবে আমি দলের সেরা খেলোয়াড়দের বাছাই করব না পরিসংখ্যান তাদের হয়ে কথা বলবে। আমি তাদের বেছে নিতে চাই, দলের লক্ষ্য অর্জনে যাদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। তাদের বলার মতো অবদান দীর্ঘ মেয়াদে খুব খুব গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে, এমন খেলোয়াড়দের আমি বেছে নিতে চাই।
বাংলাদেশের পক্ষে আমার বাছাই করা দুইজন খেলোয়াড় নাজমুল হোসেন শান্ত ও মেহেদী হাসান মিরাজ। শান্তর খেলায় ক্রিকেট বিশ্ব মুগ্ধ। ওপেনিংয়ে কিংবা তিনে খেলায় সে নিজের সামর্থ্য ধীরে ধীরে বাড়াচ্ছে। এমনটি নয় যে সে হঠাৎ করেই আবির্ভূত হয়েছে। বাংলাদেশে প্রতিভার স্ফুরণ ঘটিয়ে অকালে ঝরে যাওয়া খেলোয়াড়দের মতো নয়, সে ধীরে ধীরে বড় কিছু হয়ে উঠেছে। মুশফিকুর রহিম ও সাকিব আল হাসানের ওপর থেকে সে চাপ কমাতে পারলে দলের জন্যই ভালো হবে।”
মিরাজের সম্পর্কে হার্শা বলেছেন, “টেস্টে আমি প্রথম তার বোলিং দেখেছি। সে টেস্টের জন্য যথাযথ অফ স্পিনার। এরপর সাদা বলের ক্রিকেটেও তার পরিসংখ্যান ধীরে ধীরে বাড়ছে। মাঝেমধ্যে সে ইনিংস উদ্বোধনও করে আবার অবিশ্বাস্য ইনিংসও খেলেছে। সাত–আটে থেকে ম্যাচ জেতানো কিংবা দলকে বিপদ থেকে সে উদ্ধার করতে পারে। আমার মনে হয়, মেহেদী হাসানের মধ্যে পরবর্তী সাকিব আল হাসান হওয়ার সব গুণাগুণই রয়েছে। আমি জানি না সে এটি পারবে কি না, তবে মেহেদী হাসানকে মিরাজকে পাওয়া বাংলাদেশের জন্য খুবই স্বস্তির।”