সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। প্রথম দিন শেষে বাংলাদেশ দল ৯ উইকেট হারিয়ে ৩১০ রানের সংগ্রহ করেছিল। দ্বিতীয় দিন নেমে কিছু রান সংগ্রহ করতে চেয়েছিল বাংলাদেশের দুই অপরাজিত ব্যাটসম্যান শরিফুল ইসলাম ও তাইজুল ইসলাম। তবে সেটি আর হয়ে ওঠেনি। দিনের প্রথম বলেই টিম সাউদির বলে এলবিডব্লিউর শিকার হন শরিফুল ইসলাম। যার ফলে ৩১০ রানেই প্রথম ইনিংস শেষ করে বাংলাদেশ।
নিউজিল্যান্ড দল তাদের প্রথম ইনিংস দেখে শুনে খেলার চেষ্টা করেন। তবে লাঞ্চের আগেই ওপেনার টম লাথাম ও ডেভন কনওয়েকে হারায় নিউজিল্যান্ড দল। সে সময় কিছুটা চাপই অনুভব করছিল কিউইরা। সেই চাপ সামলে নেন অধিনায়ক কেইন উইলিয়ামসন ও হেনরি নিকোলস। কিন্তু হেনরি নিকোলসও বেশিদূর এগোতে পারেননি। লাঞ্চের পরেই দলীয় ৯৮ এবং ব্যক্তিগত ১৯ রানে ফিরে যান তিনি। এরপরে বাংলাদেশ দলের জন্য ভয়ের কারণ হয়ে দাঁড়ান ড্যারি মিচেল। ক্রিজে এসে দ্রুত রান তোলার চেষ্টা করেন তিনি। শেষ পর্যন্ত ৫৪ বলে ৪১ রান করেন তিনি। কিন্তু এক পাশ আগলে রাখেন কেইন উইলিয়ামসন। টম বান্ডেল দ্রুত ফিরলে ফিলিপের সঙ্গে ৭৮ রানের লম্বা জুটি করেন উইলিয়ামসন।
যদিও ৬৩ রানে তাইজুল ইসলাম উইলিয়ামসনের একটি সহজ ক্যাচ মিস করে নতুন জীবন দান করেন কেইন উইলিয়ামসনকে। এরপরে শরিফুল ইসলামও একটি সুযোগ পেয়েছিলেন। তবে ক্যাচটা লুফে নেওয়া একটু কঠিন ছিল। সেখান থেকে কেইন উইলিয়ামসন আর কোন ভুল করেননি। ১০৪ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলেছেন তিনি। ১০৪ রান করে তাইজুল ইসলামের শিকার হয়েছেন উইলিয়ামসন। ৪২ রান করে সাজঘরে ফিরে যান ফিলিপসও। ফিলিপসের সঙ্গে শূন্য রানে ফিরে যান ইশ সোধি।
যার ফলে দ্বিতীয় দিনশেষে নিউজিল্যান্ডের সংগ্রহ ৮ উইকেট হারিয়ে ২৬৬ রান। তৃতীয় দিনে যত দ্রুত সম্ভব নিউজিল্যান্ডকে অলআউট করে কিছু রানের লিড পেতে চাইবে বাংলাদেশ দল। এদিন বাংলাদেশের পক্ষে চার উইকেট নিয়েছেন তাইজুল ইসলাম। একটি করে উইকেট পেয়েছেন শরিফুল ইসলাম, নাঈম ইসলাম, মেহেদী হাসান মিরাজ ও মমিনুল হক।